এখনি এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বললে বিপদে পড়বেন পূজা

পূজা চেরি রায়
পূজা চেরি রায়  © ফাইল ফটো

অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে চিত্রনায়িকা পূজা চেরির ‘হৃদিতা’ ছবির শুটিং শুরু হবে। মূলত এ ছবির শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এরমধ্যে যদি এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বলা হয়, তাহলে তিনি বিপদে পড়ে যাবেন। এখন এই দুশ্চিন্তা এসে দাঁড়িয়েছে তার সামনে।

একটি জাতীয় দৈনিককে পূজা জানান, আমি যতই পড়ালেখা করি না কেন, পরীক্ষার আগের রাতে আমাকে পড়তেই হয়। নয়তো পরীক্ষার হলে গিয়ে কিছুই মনে পড়বে না।

পূজা সিদ্ধেশ্বরী কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি ২০০০ সালের ২০ আগষ্ট খুলনার গাজীরহাটে এক মধ্যবিত্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পরো নাম পূজা চেরি রায়। তবে সবাই তাকে পূজা চেরি নামেই চেনে।

পূজা নতুন সিনেমায় (হৃদিতা) চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকে সেটি নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হৃদিতার সংলাপগুলো বলার চেষ্টা করছেন। এই আয়নায় সারা বছর তাঁকে নানাভাবে সাহায্য করে। পূজা জানান, শুটিং না থাকলে হয়তো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয় না। কিন্তু এই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভারী মনে হলে খারাপ লাগে তাঁর। তাই ব্যায়াম আর পরিমিত খাবারে অভ্যস্ত তিনি।

চুক্তি সই করার পরদিনই ‘হৃদিতা’ উপন্যাসটি সংগ্রহ করেছেন পূজা। তিনি বলেন, আমি সব সময় ডিরেক্টরকে অনুরোধ করি, শুটিংয়ের আগে অন্তত দুদিন যেন কো-আর্টিস্টের সঙ্গে মহড়া করতে দেন। এখন পর্যন্ত যে কজন ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করেছি, সবাই আমাকে সুযোগটি দিয়েছেন। আর শুটিংয়ের আগে অনেককেই দেখেছি, ওজন কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আমি প্রতিদিন ইয়োগা করি, ব্যায়াম করি।

অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি শুরু হবে ‘হৃদিতা’ ছবির শুটিং। সেই প্রস্তুতি চলছে ছবির হৃদিতা পূজা চেরির। রূপচর্চা, ওজন কমানো, পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি চলছে পড়াশোনা। তিনি জানান, বাসার কাজে মাকে সহযোগিতাও করছি। মায়ের থেকে বেশ কিছু রান্নাও শিখেছি।

পূজা চেরি ২০১২ সালে ‘ভালোবসার রং’ চলচিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথম সিলভার স্কিনে হজির হন। সে ছবিতে তিনি চিত্রনায়িকা মহিয়া মাহির শৈশবের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এরপর পুজা ‘অগ্নিী’, ‘জান তুমি প্রাণ তুমি’, ‘ডন নম্বার ওয়ান’ ছবিগুলোতে শিশু অভিনেত্রী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ