দ্বিতীয়বর্ষে ভর্তি ও তিন মাসের বেতনের নোটিশে বিপাকে নটরডেম শিক্ষার্থীরা

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে সংসদ টিভির মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠদান অব্যাহত রেখেছে সরকার। অন্যদিকে অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো। শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও টিউশন ফি পরিশোধ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে; টিউশন ফি আদায়ে চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। তবে সেটি অনেকক্ষেত্রে উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে।

টিউশন ফি দেওয়া নিয়ে এবার বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা। চলতি জুলাই মাসের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফিসহ, তিন মাসের বেতন পরিশোধ করার নোটিশ দেয়া হয়েছে। যদিও গত মাসেই তিন মাসের বেতন পরিশোধ করেছেন তারা। এখন আবার তিন মাসের বেতন পরিশোধ করা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে কলেজের একাদশ শ্রেণী থেকে সবাইকে দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীকে চলতি জুলাই মাসের ২৬ তারিখের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি ফি’র ৯ হাজার ৪০০ টাকাসহ চলতি জুলাই মাস ও আগামী আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসের ৭ হাজার ৮০০ টাকা পরিশোধের জন্য নোটিশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এই নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাস মহামারীর এই সময়ে এতো টাকা একসাথে পরিশোধ করা কষ্টকর বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে কলেজটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, কভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে এতো টাকা দেওয়া অনেক বেশি কষ্টকর। আমরা অনেকেই এক সাথে এতগুলো টাকা দিতে পারবো না। আশা করছি কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মো. রবিউল ইসলাম জানান, এটি অযৌক্তিক ও অমানবিক। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেখানে করোনাকালে টিউশন ফি আদায়ে শিক্ষার্থীদের চাপ দিতে নিষেধ করেছে; সেখানে এভাবে নোটিশ দিয়ে ফি পরিশোধ করতে বলার কোন মানেই হয় না। কলেজ কলেজ কর্তৃপক্ষ গত মাসই তিন মাসের বেতন নিয়েছে, এখন আবার বেতন ও ভর্তি ফি’র এতো টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবিভাবক জানান, গত মাসেই তিনি তার ছেলের কলেজের তিন মাসের বেতন পরিশোধ করেছেন। কিন্তু এখন আর কোনো টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমি আশা করছি কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

এ বিষয়ে জানতে নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিয়াস রোজারিও সিএসসিকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।