জাতীয়করণকৃত ৩০২ কলেজ

তিন বছরে যাচাই হয়েছে ২০ কলেজের কাগজপত্র

শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম

লোগো
লোগো

জাতীয়করণের গেজেট হওয়া ৩০২ কলেজের মধ্যে ২২০টির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আরও ৭০টি কলেজের যাচাই-বাছাই কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে 'ফাইল রাখার জায়গা না থাকায়' তা পাঠানো যাচ্ছে না বলে সংশ্নিষ্টরা জানান। মন্ত্রণালয় এখন শিক্ষকদের ডেকে যাচাই-বাছাই করছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ২০টি কলেজের শিক্ষকদের কাগজ যাচাই শেষ হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষ হতেই আরও কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।

সদ্য সরকারি হওয়া কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। কলেজ সরকারি হলেও শিক্ষকরা এখনও বেসরকারি। তাদের আত্তীকরণ প্রক্রিয়া দিন দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। অনেক শিক্ষক সরকারি হওয়ার আগেই অবসরে চলে যাচ্ছেন। দেশের অনেক উপজেলায় কোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা কলেজ ছিল না। সেখানে একটি কলেজ ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে তিন বছর আগে সরকারি করা হয়। এতে সারাদেশের ৩০২টি কলেজ ও প্রায় সমানসংখ্যক মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি হয়েছে। এরপর শিক্ষকদের 'কাগজপত্র যাচাইয়ের' নামে রহস্যজনক কারণে দীর্ঘ সময় পার করা হয়। সব মিলিয়ে বেশ সংকটে পড়েছে সরকারি হওয়া নতুন এসব কলেজ।

এসব কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে উপসচিব পদমর্যাদার মাত্র একজন কর্মকর্তা রয়েছেন।  অন্যদিকে জাতীয়করণকৃত কলেজে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। এর মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যা ১২ হাজার ৩৫৬ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় চার হাজার। জাতীয়করণের সম্মতির পরই কলেজগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ফলে সেখানেও দীর্ঘদিন লেগে যাবে।

জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের সংগঠন সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির (সকশিস) সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, সংশ্নিষ্ট কলেজগুলো স্থানীয়ভাবে ভালো মানের বলেই সরকার এগুলো সরকারীকরণ করেছে। অথচ শিক্ষকদের আত্মীকরণ প্রক্রিয়া কেবলই দীর্ঘতর হচ্ছে। বিপরীতে নিয়োগ বন্ধ থাকায় শিক্ষক সংকটে কলেজগুলোতে একাডেমিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, মাউশি থেকে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ থেকে শুরু করে এমপিও, একাডেমিক যোগ্যতাসহ সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখতে হয়েছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সময় লেগেছে। অধিদপ্তরের কাজ শেষ প্রায়।

তিনি বলেন, দ্রুততার সঙ্গে আত্মীকরণ করা গেলে শিক্ষক সংকট দূর হয়ে যাবে। জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর পদ সৃষ্টি হয়ে গেলে প্রয়োজনে অন্য কলেজ থেকে শিক্ষক বদলি করে এনে এসব কলেজের শিক্ষক শূন্যতা দূর করা হবে


সর্বশেষ সংবাদ