পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিগুণ হল বিদেশী শিক্ষার্থী

প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি  © ফাইল ফটো

দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একসময় বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম থাকলেও সে দৃশ্য পাল্টাতে শুরু করেছে। এখন বিদেশি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে মানসম্মত শিক্ষা এবং খরচ কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রকাশিত ‘৪৫তম বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৮’-এ দেখা গেছে ২০১৭ সালে দেশের ২৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৬১, যা ২০১৮ সালে এসে ৮০৪-এ দাঁড়িয়েছে। ফলে এক বছরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের বছরগুলোতে বিদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০১৬ সালে ৩৫৫ জন, ২০১৫ সালে ৫৯৩ জন, ২০১৪ সালে ৪৩২ জন, ২০১৩ সালে ৩২৬ জন, ২০১২ সালে ৫২৫ জন, ২০১১ সালে ২১০ জন এবং ২০১০ সালে ৩৫৯ জন।

ইউজিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ডিজিটালাইজেশন হয়েছে। ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির (আইসিটি) কল্যাণে বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে উচ্চশিক্ষার কোর্স-কারিকুলাম, সিলেবাস ইত্যাদি দেখে বাংলাদেশে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

২০১৮ সালে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, জাপান, সৌদি আরব, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, গাম্বিয়া, মরক্কো, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে, সিয়েরালিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, বাহরাইন, লাইবেরিয়া, জাম্বিয়া, জিবুতি, মিয়ানমার, কেনিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং যুক্তরাজ্য মিলিয়ে মোট ৩৩টি দেশের শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে আসেন।


সর্বশেষ সংবাদ