ঢাকা কলেজের শহীদদের স্মরণে তৈরি হবে ভাস্কর্য

  © ফাইল ফটো

উপমহাদেশের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ ঢাকা কলেজ। ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের সুপ্রচীন এই কলেজটি। স্বগৌরবে কলেজটি এখন ১৭৯-তম বছরে পদার্পন করেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এ কলেজের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ অবধি সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এই কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী শহীদ হন।

এর মধ্যে যাদের সন্ধান মেলে তারা হলেন, শহীদ নজরুল ইসলাম, শহীদ আবদুস সবুর সিকদার, শহীদ নাজিম উদ্দিন খান খুররম, শহীদ আলী আহসান, শহীদ মোয়াজ্জেম হোসেন, শহীদ নিজাম উদ্দিন আজাদ, শহীদ আজিজুল ইসলাম বাবুল, শহীদ এম এ কাইয়ুম।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও তাদের স্মরনে কোন ভাস্কর্য বা প্রতিকৃতি তৈরি হয়নি। ছাত্রদের দীর্ঘদিনের দাবি, এই শহীদ বীরদের স্মরণে ভাস্কর্য তৈরি হোক। ভালোভাবে স্মরণ করা হোক ঢাকা কলেজের শহীদদের, তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের বিশেষ অবদান ও আত্মত্যাগ সম্পর্কে নতুনদের জানার সুযোগ তৈরি হোক।

২০২০ ও ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে। এই সময়ের মধ্যে ঢাকা কলেজে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ভাস্কর্য স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন ছাত্ররা।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ নেহাল আহমেদ এ সম্পর্কে বলেন, ‘ছাত্রদের এ চাওয়ার সাথে আমিও একমত। কিন্তু সরকারি কলেজগুলোতে এ ধরণের কাজের জন্য সরকারি কোনো বাজেট হয় না। তবে, আমি শিক্ষার্থীদের জন্য যে কৌশলে বাসের ব্যবস্থা করেছি, সেভাবেই একটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ভাস্কর্য তৈরির প্রচেষ্টা চালাবো।’

তিনি বলেন, ‘ভাস্কর্যটি কলেজের বাগানের সামনের দিকটায় স্থাপন করা হবে। আর এর উচ্চতা হবে ছাব্বিশ ফুট, যেটা সায়েন্সল্যাব এবং নীলক্ষেত থেকে সরাসরি দেখা যাবে।’


সর্বশেষ সংবাদ