মেয়েকে ভর্তির টাকা নেই, দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মা

  © সংগৃহীত

শত কষ্টের মধ্যেও দরিদ্র মায়ের ইচ্ছা ছিল মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সও পেয়েছে। কিন্তু অর্থের অভাবে মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে সাহায্যের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় এক মা।

মেধাবী ছাত্রী লাইলাতুন ফারজানা নালিতাবাড়ী পৌর শহরের দক্ষিণ গড়কান্দার মো. শওকত আলীর মেয়ে। তিনি লন্ড্রির দোকান চালান। মা গৃহিণী। ফারজানা শহরের আবদুল হাকিম স্মৃতি মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পান। পরে শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৪.৮৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

রোববার দুপুরে তার মা হেলেনা খাতুন দিশা না পেয়ে নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবে ছুটে আসেন। মেয়ে ফারজানা পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ভর্তির সময় শেষ হতে চললেও এখনো ভর্তির টাকা জোগাড় করতে পারেনি তাঁর পরিবার। অসহায়ত্বের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা হেলেনা।

গত ৩০ নভেম্বর পবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ফারজানা। শনিবার রাতে মোবাইলে পাঠানো মেসেজে মঙ্গলবারের মধ্যে ভর্তি হওয়ার জন্য জানানো হয়। ভর্তির জন্য প্রয়োজন ১৩ হাজার টাকা।

ফারজানা মোবাইলে বলেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। কাল মঙ্গলবার ভর্তির শেষ সময়। এরমধ্যে টাকা জোগাড় না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্নই শেষ হয়ে যাবে তার।

দরিদ্র মা–বাবার কাছে এত টাকা না থাকায় শেষ সময়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে গোটা পরিবার। উপায় না পেয়ে টাকার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার মা।

প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি অহন কী করমু? হাতে টেহা আছে মাত্র তিন হাজার। ১০ হাজার টাকা এখনো প্রয়োজন। মেয়ে টেহার লাইগা ফোন দেয়। আমি বলি, আল্লার রহমে একটা ব্যবস্থা অইব। দুশ্চিন্তা কইরো না।’

এ বিষয়ে আবদুল হাকিম স্মৃতি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যোগেন চন্দ্র বলেন, ফারজানা অত্যন্ত মেধাবী। তবে পরিবারটি দরিদ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলে উচ্চশিক্ষায় অনেক ভালো করবেন তিনি।

ফারজানার ভর্তির জন্য সহায়তা করতে যোগাযোগ নম্বর: ০১৯৬০–১৩০৬৪৪ (হেলেনা খাতুন)