কেরানীগঞ্জকে আলোকিত করবে জবির নতুন ক্যাম্পাস

বাতির নিচে অন্ধকার খ্যাত কেরানীগঞ্জে এখন নতুন রূপ নিতে যাচ্ছে। সেখানে হচ্ছে দেশের আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৫ সালে জগন্নাথ কলেজের সাড়ে ৭ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা।

দেশের একমাত্র অনাবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ছাত্রছাত্রীরা হল নিয়ে আন্দোলন করে আসছিল। সর্বশেষ ২০১৬ সালে হল নিয়ে আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রথম আধুনিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হবে।

যার ফলশ্রুতিতে কেরানীগঞ্জের তেগরিয়া ইউনিয়নের মুজাহিদনগরে হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮৮.৬০ একরের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন আধুনিক ক্যাম্পাস। ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সম্পূর্ন ভূমি ক্রয় করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এই সম্পূরন জমির দাম ধরা হয়েছে ৮৯৯ কোটি ৮০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩২ টাকা। এতে কেরানীগঞ্জের জমির দাম প্রায় তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ নভেম্বর রোজ শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের মধ্যে প্রথম ৪০ জনকে মোট ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৫ টাকার চেক প্রদান করা হয়। এতে প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ নসরুল হামিদ । তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কেরানীগঞ্জে বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান হয়েছে। কেরাণীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ক্যাম্পাস হচ্ছে।

এখানকার সবার আশা থাকবে যে, তাদের ছেলে-মেয়েরা যেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে লেক থাকবে। এখানে প্রচুর গাছপালা ও বনায়ন থাকবে। থাকবে প্রাকৃতিক পরিবেশ। ছাত্রছাত্রীদের এক হল থেকে আরেক হলে যাতায়াতের জন্য থাকবে ট্রাম চলাচল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহৃত পানি রিসাইক্লিং করে আবার পুনরায় ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া ঘাটারচর বছিলাতেও একটি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য মীজানুর রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বছরের পর বছর আন্দোলন করেও পাওয়া যায় না, সেখানে কেরানীগঞ্জবাসী না চাইতেই একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে। এ জন্য তারা সৌভাগ্যবান। এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।


সর্বশেষ সংবাদ