IELTS নিয়ে কিছু কথা

  © লোগো

যারা ইংরেজী ভাষায় কিঞ্চিত দুর্বল কিংবা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে আগ্রহী, তাদের জন্য আজকের এই প্রয়াস। আজ আমরা ILETS কোর্স এর একটি সম্পূর্ণ চিত্র আপনাদের সামনে সক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। প্রথমত, IELTS বা International English Language Testing System হলো সার্বজনীন এবং আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ইংরেজী ভাষায় দক্ষতার একটি সনদ। আমরা যারা উন্নত বিশ্বে উচ্চশিক্ষা অথবা ইমিগ্রেশন এর চিন্তা করছি, তাদের জন্য IELTS অনেকটা ঐ স্বপ্নঘরের চাবি মতো।

IELTS মূল্যায়ন পরীক্ষাটি মূলত তাদের জন্য যারা পড়ালেখা, চাকরি অথবা স্থায়ীভাবে বিদেশে যেতে চান। বাংলাদেশিরাও এর ব্যতিক্রম নয়। আর বাঙালি হিসেবে ইংরেজি ভাষায় কমবেশি আমাদের সবার ই কিছু না কিছু দুর্বলতা আছে। আর এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার জন্য IELTS হতে পারে সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। সত্যি বলতে বিশ্বায়নের এই যুগে ইংরেজী ভাষায় একটু দক্ষতা থাকা খুব দরকার। বর্তমানে ঢাকাসহ অনেক জেলা শহরে বিভিন্ন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং একাডেমীক সেন্টার IELTS কোর্সটির জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

এখন আমরা সবাই জানি উন্নত দেশে শিক্ষা বা ভিসার আবেদন করতে IELTS এর গুরুত্ব কতটুকু। IELTS টেস্ট ২ ধরণের। এক হলো Academic IELTS, যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বাহিরের দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য, আর অপরটি General IELTS, যারা চাকরি, ইমিগ্রেশন অথবা কারিগরি শিক্ষায় বাইরের দেশে মাইগ্রেট করতে চান।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এই পরীক্ষার জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই এবং যে কেউ এই মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে TOEFL এবং IELTS এর কার্যকারিতা এবং তাদের পার্থক্য নিয়ে সবার মধ্যেই প্রশ্ন থাকে। তবে, IELTS এর গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশী এবং আন্তর্জাতিক ভাবে IELTS, TOEFL এর চেয়ে নিঃস্বন্দেহে এগিয়ে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের এক্সামিনেশন্স ডাইরেক্টার এক সেমিনারে বলেন, উচ্চশিক্ষা ছাড়াও যে কোনো ক্ষেত্রে ভিসা কংবা ইমিগ্রেশনের জন্য অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও আরো অনেক দেশে IELTS এর একটি ভালো স্কোর থাকা বাধ্যতামূলক। বিশ্বজুড়ে গড়ে প্রতিবছর ১৪ লাখের ও বেশি পেশাজীবি, শিক্ষার্থী চাকরী এবং উচ্চশিক্ষা গ্রহনের লক্ষে IELTS টেস্টে অংশগ্রহন করে থাকেন।

IELTS পরীক্ষাটি সারাবিশ্বে সার্বিকভাবে ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ এবং আইডিপি অস্ট্রেলিয়া পরিচালনা করে থাকে। পুরো পরীক্ষা প্রণালীটির নীতি নির্ধারক মূলত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ হলেও প্রশিক্ষণ, পরীক্ষা পরিচালনা, শিক্ষার্থীদের মাঝে আদান প্রদানে মূল ভূমিকা পালন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবঅং আইডিপি অস্ট্রেলিয়া। এই অভিন্ন পরীক্ষা পদ্ধতি এবং প্রশ্নপত্রের মান ধরে রাখার জন্য IELTS এর গ্রহনযোগ্যতা দিনে দিনে বাড়ছে।

আনেকেই আমরা মনে করি, IELTS খুব কঠিন পরীক্ষা, যা সম্পূর্ণ ভুল। ব্রিটিশ কাউন্সিল এর মতে ইংরেজীতে মাঝারি দক্ষ হয়েও IELTS টেস্টে ভালো মার্কস পাওয়া সম্ভব। IELTS এর মূল উদ্দেশ্য হলো ইংরেজী ভাষায় Writing, Reading, Listening এবং Speaking, এই চারটি দক্ষতা পর্যালোচনা করা। আর ২ ধরণের IELTS পরীক্ষাতেই এই চারটি অংশ থাকে।

এই পরীক্ষা নিয়ে আসলে এতো উৎকণ্ঠিত বা চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা আমদের নিত্যদিনের কাজের পাশাপাশি এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি। বর্তমানে ইন্টারনেটে প্রচুর টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে সহজেই এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরী করা সম্ভব।


সর্বশেষ সংবাদ