এবারও চরম ভোগান্তিতে পড়তে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা

  © ফাইল ফটো

উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষা দেওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে উচ্চশিক্ষা অর্জনে ভর্তি হবেন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থী গড়তে চায় তার নিজের জীবন, সফল করতে চায় তাকে নিয়ে তার মা-বাবার স্বপ্ন। তাইতো, উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরিক্ষার পর পরেই খেয়ে না খেয়ে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষার প্রস্তুতি।

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীদের নিতে হয় আলাদা প্রস্তুতি। পড়তে হয় চারমাসের বেশি সময় একাডেমিকের বাইরে অতিরিক্ত পড়া। এসময় গড়ে প্রতিটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন ১৪-১৫ ঘন্টা। অনেক কষ্ট আর ত্যাগ স্বীকার করে প্রস্তুতি নেয় সবাই। ঘুম হারাম, খেলাধুলা ও খাওয়া-দাওয়া বন্ধ, প্রচণ্ড মানসিক চাপ, কেবল পড়া, মুখস্থ করা, কোচিং সেন্টারের ক্লাসে যাওয়া- এ এক কঠিন জীবন উচ্চশিক্ষায় ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের।

কিন্তু আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের এই বিশ্ববিদ্যাগুলোতে অংশ নিতে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাদের। ভর্তিচ্ছুরা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ করেই আরেকটি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সারারাত জেগে, দীর্ঘ ভ্রমণ করে পরের দিন সকালে যান অন্য শহরের আরেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে বিরক্ত হয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবকরা।

প্রতিবারের ন্যায় এবারো এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) সমন্বিত ভর্তি পরিক্ষা চালুর উদ্যোগ নিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাড়া না দেওয়ায় এবারো ভোগান্তির সম্মূখীন হবেন শিক্ষার্থীরা। সাথে ব্যয় হবে প্রচুর অর্থ।

তবে ভোগান্তি কমাতে শিক্ষার্থীদের দাবি সমন্বিত ভর্তি পরিক্ষার। সাথে বেঁচে যাবে অর্থ। অভিভাবকদের দাবি, সমন্বিত ভর্তি পরিক্ষা যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয়। এতে তাদের ভোগান্তি কমবে, মানসিক চাপ থেকে বেঁচে যাবেন।

দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভর্তি পরিক্ষা দিতে গেলে থাকবে কোথায়, খাবে কি তা নিয়ে চিন্তা করতে হয়। তাতে অভিভাবকরা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। এ জন্য তারা চান সমন্বিত ভর্তি পরিক্ষা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে।

বিষয়টি নিয়ে ভর্তিচ্ছু এক ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় আমাদের। একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একেক রকম প্রশ্ন। তখন দেখা যায়, আমরা কোনটা রেখে কোনটা পড়ব বুঝতে পারি না। তাই এটা দ্রুত সমাধান হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এ বিষয়ে আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সিমা খানম বলেন, ‘আমাদের দাবি, দ্রুত যেন সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হয়। এর ফলে আমাদের ভোগান্তি কমবে। দৌড়াদৌড়ি করা আমাদের আর ভাল লাগে না। তাছাড়া, মানসিক টেনশন কাজ করে।’


সর্বশেষ সংবাদ