বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা লিখিত আকারে চান শিক্ষামন্ত্রী, সময় ১০ দিন

  © টিডিসি ফটো

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিককালে এটাই প্রথম কোন শিক্ষামন্ত্রীর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে এমন আয়োজন।  বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন  শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৈাধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।

মত বিনিময়ের সময় ছাত্র নেতৃবৃন্দ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাসমূহ  তুলে ধরেন। মত বিনিময়ে ছাত্রনেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সমস্যা, ট্রান্সপোর্ট সমস্যা, ইন্টারনেট সমস্যা, পরীক্ষায়  কোডিং সিস্টেম চালু করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, কেন্টিনের সমস্যা, খাবার দাবার সমস্যা, লাইব্রেরীর  সমস্যা, নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধীরগতি এবং বিভিন্ন বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে আলোচনা করেণ।

শিক্ষামন্ত্রী আগামী ১০ দিনের মধ্যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাসমূহ লিখিতভাবে তাকে জানানোর জন্য বলেন।  তিনি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখিত সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্টার এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে জড়িত পিডিদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে বৈঠকে আশ্বাস দেন।

বৈঠক শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক  উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিক্ষার গুণগত উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুবই জরুরী।

ডা. দীপু মনি ছাত্রলীগকে শিক্ষাঙ্গনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখার  প্রতি আহ্বান জানান। কোন রকমের সমস্যা হলে তা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সমাধান করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যর্থ হলে তা নিয়ে তার সাথে আলোচনা করতে বলেন। শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে নিষেধ করেন। মন্ত্রী বলেন শিক্ষাঙ্গনে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে হবে। শিক্ষকদের দলাদলিতে ছাত্র নেতৃবৃন্দের  না জড়াতে মন্ত্রী নির্দেশ প্রদান করেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ছাত্র হিসেবে ছাত্রদের প্রধান কাজ হল লেখাপড়া করা এবং ঐ লেখাপড়া কাজে লাগিয়ে নিজের ক্যারিয়ার ও বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখা। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন আছে, এই আইনের মধ্যে থেকে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।

ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ছাত্রলীগকে ছাত্রদের দাবী দাওয়া আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের সাথেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাতক গোলাম রাব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অনেক সময় তাদের স্বায়ত্বশাসনের অপব্যাবহার করে। ছাত্র রাজনীতি যারা করে তাদের অনেক সময় কম নাম্বার দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। যা খুবই দুঃখজনক।


সর্বশেষ সংবাদ