স্বাস্থ্য মহাপরিচালক গণমাধ্যমে আর কথা বলবেন না

  © ফাইল ফটো

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গণমাধ্যমের সাথে আর কথা বলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বুধবার (৮ জুলাই) তিনি নিজে সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন বলে তিনি জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ৯ জুন করোনা সংক্রান্ত ১০টি কমিটি পুনর্গঠন করে। সেখানে নয়টি কমিটির পাশাপাশি গঠন করা হয় তথ্য ব্যবস্থাপনা, গণযোগাযোগ এবং কমিউনিটি মবিলাইজেশন বিষয়ক একটি ১৩ সদস্যের কমিটি। সেখানকার সভাপতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)-এর লাইন ডিরেক্টর ডা. হাবিবুর রহমান। আর সদস্য সচিব হয়েছেন কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আখতার।

তবে করোনার এই সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও তাদের নিকট থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন। কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে বলেন, প্রকৃত চিত্রটাতো সবসময় বলা সম্ভব হয় না।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলেন, দেশ থেকে করোনাভাইরাস এক-দুই কিংবা তিন বছরে যাবে না। দুই থেকে তিন বছর অথবা তার চেয়েও বেশি স্থায়ী হবে। তবে সংক্রমণের মাত্রা উচ্চহারে নাও থাকতে পারে। সেজন্য সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানান তিনি।

তার বক্তব্যে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় এ ধরনের মন্তব্য ভীতির সঞ্চার করবে বলে মত দেন অনেকে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অদূরদর্শী ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য হতাশ করেছে মানুষকে। স্পর্শকাতর সময়ে দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন বক্তব্য দেওয়া সমীচীন নয়। তিনি এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেন।

পরে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় ভুলের দায় চাপান লেখকদের ওপর। তিনি বলেন, স্ক্রিপ্টটি তৈরি করতে গিয়ে বুলেটিনের সময় হয়ে যায়। ভালো করে পরীক্ষা করারও সুযোগ হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ