ইতালি গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বাংলাদেশিরা, আক্রান্ত ৭

  © ফাইল ফটো

করোনার কবলে পরা ইতালি কিছুটা দাঁড়ালেও এবার দেশটিতে এক নারীসহ ১১ বাংলাদেশির করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। গত ১৭ ও ২৪ জুন বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ফ্লাইটে রোমসহ ইতালির আরও দুইটি শহরে আসা ৭ বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তরা দেশটির বিভিন্ন হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আর এমন খবরে বাংলাদেশিসহ স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে করোনা ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা শনাক্তের বিষয়টি দেশটির গণমাধ্যম ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ ফ্লাইটে আসা ৭ বাংলাদেশির করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। একই সঙ্গে এক নারীরও করোনা শনাক্ত হয়, তিনি লন্ডন থেকে ইতালিতে আসেন।

এদিকে ফরতা ফূর্বা নামক এলাকায় একই বাসায় তিন বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত হয়। পরে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে আলাদাভাবে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জানা যায়, একই বাসায় আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ফ্লাইটে সম্প্রতি ইতালি যান। করোনা শনাক্তের খবরে পুলিশ ওই বাসায় তালা লাগিয়ে দেন।

এদিকে আরেক বাংলাদেশির কর্মকাণ্ডে ইতালির গণমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। করোনা পজিটিভ নিয়ে রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসে সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।

দেশ থেকে আসা বাংলাদেশিরা কোনোভাবেই হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না। এর ফলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক বাংলাদেশি।

এ ব্যাপারে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব প্রবাসী ফিরেছেন সবাই যেন ইতালি সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। তা না হলে একদিকে যেমন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আমাদের দোষারোপ করার সুযোগ পাবে ইতালি সরকার। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইতালি ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার পরে সবাইকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সবাইকে তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ইতালিতে করোনা পরিস্থিতি গত দুইমাস ধরে উন্নতির দিকে। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। এর ফলে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চাটার্ড ফ্লাইটে আসা ৭ বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত হলে বিষয়টি ফের সমালোচনার ঝড় তোলে।


সর্বশেষ সংবাদ