দেশে আগাম ঈদের নামাজ শেষে চলছে কোলাকুলি

  © সংগৃহীত

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবারের মতো এবারও দেশের কয়েকটি স্থানে আগাম ঈদ পালিত হচ্ছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চাঁদপুর, দিনাজপুর, শরীয়তপুর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা রয়েছে। এসব এলাকার লোকজন সৌদি আরবের সঙ্গে একই দিন রোজা শুরু করেন; একই দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।

সেই হিসাবে আমাদের দেশে যেদিন রোজা শুরু কিংবা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা হয় তার একদিন আগে তারা উৎসবগুলো পালন করেন। বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সোমবার।

একইভাবে দিনাজপুরের বিরামপুরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দু’টি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঈদ করেছেন। সকালে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি করতে নিষেধ ও সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশনা থাকলেও কোনোটিই পালন করা হয়নি। ঈদের জামাত শেষে আগের মতো মোসাহাফা এবং কোলাকুলি দুটি করেছেন অনেকে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে মেলামেশা হয়েছে ভিন্নগ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রবিবার সকাল ৮টায় বিরামপুর উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর গ্রামের জামে মসজিদে এবং ৭টা ৪৫ মিনিটে বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া বাজার জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দু’টি জামাতে ১৫টি গ্রামের প্রায় ১০০ মানুষ নামাজ আদায় করেন।

এছাড়া ঈদের জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা উপস্থিত ছিলেন। দূর দুরান্তের গ্রামগুলো থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ সাইকেলে কের কেউবা মোটরসাইকেলে করে এসে জামাতে অংশ নেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

ওই এলাকার এক মওলানা জানান, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না, তাই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে এই ঈদের নামাজ আদায় করা। হযরত মুহাম্মদ (সা.) জম্মগ্রহণ করে ১২ রবিউল আওয়াল সোমবার কিন্তু যদি দিন ধরা হয় তাহলে আমাদের দেশে সেই দিন হয় মঙ্গলবার। আবার রমজানে ২৭ তারিখে আমরা লাইলাতুল কদর রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুঁজি। কিন্তু দিন হিসেবে আমরা একদিন পর সেই রাতকে খুঁজতেছি। এমন বিভিন্ন চিন্তা ও হাদিসি ব্যাখ্যার কারণেই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উযদাপন করছি।’

তিনি আরও বলেন, আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে এই গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার মুসল্লির সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আগাম ঈদের জামাতে যাতে কোনও প্রকার বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। মসজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল ও শান্তিপূর্ণভাবেই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মানা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুসল্লির সংখ্যা কম ছিল। একটিতে ২০ জনের মতো অপরটিতে ৩০ জনের মতো মুসল্লি ছিল। দুটি ইউনিয়নে ছোট দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ