ট্রাম্পের খাওয়া ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা শুরু

  © ফাইল ফটো

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ম্যালেরিয়ার দুটি ওষুধ কার্যকর কি না, সে পরীক্ষায় অংশ নিতে শুরু করেছেন যুক্তরাজ্য ও থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মীরা। এ পরীক্ষায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে যে ওষুধ খাওয়ার কথা বলেছিলেন, সেটিও রয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এ পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত থেকে নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ক্লোরোকুইন এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কাজ করে কি না, তা দেখবেন।

এপ্রিলের শুরুতে ট্রাম্প ক্লোরোকুইন নিয়ে কথা বলার পর থেকে এর চাহিদা বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের সতর্কতা স্বত্বেও এ সপ্তাহে তিনি বলেন, প্রতিরোধী ওষুধ হিসেবে তিনি ওষুধটি নিয়মিত খাচ্ছেন।

ট্রাম্প বলেন, তিনি অনেকের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন। এটা সেবন করা ব্যক্তির ইচ্ছা বলে তিনি জানান। যদিও সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) গত মাসেই জানিয়েছে, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কোভিড-১৯-এর চিকিৎসার জন্য নিরাপদ নয়। এটা ব্যবহারের অনুমোদনও দেয়নি সিডিসি।

থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকমাস ধরে চলা তাঁদের 'সিওপিসিওভি' পরীক্ষা সরগরম ও অপ্রীতিকর বিতর্ক থামাতে কাজে আসবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিকোলাস হেোয়াইট বলেন, কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে কোনো কিছু কার্যকর কি না, আমরা এখনো তা জানি না। সামগ্রিকভাবে জিনিসগুলেো উপকারী কি না, তা আমরা কেবল খুঁজে পেতে পারি বড়, সুচারুভাবে পরিচালিত ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মাধ্যমে। যেগুলো নিয়ে পরীক্ষা চলছে , তা অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত ওষুধ।

'সিওপিসিওভি' গবেষক দল বলছে পরীক্ষাগারে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কার্যকরী হতে পারে বলে দেখিয়েছিল। তবে এর কোনো নিশ্চিত প্রমাণ নেই। যাঁদের কোভিড-১৯ পজিটিভ, তাঁরা এ পরীক্ষার অংশ হতে পারবেন না।

গত ১৮ মে ট্রাম্প বলেন, তিনি ও অনেক স্বাস্থ্যকর্মী হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইন খাচ্ছেন। তিনি গত দেড় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন একটি করে ওষুধ খাচ্ছেন।

যুক্তরাজ্যের পরীক্ষক দলের শীর্ষ তদন্তকারী অধ্যাপক মার্টিন লিওয়েলিন বলেছেন, অনেক স্বাস্থ্যকর্মী সুরক্ষা পোশাক পরছেন ও সামাজিক দূরুত্ব মানছেন। তবে এসব ব্যবস্থা নিখুঁত নয়। ঝুঁকি কমানোর যেকোনো উপায় বের করা গেলে তা দারুণ কাজ হবে।