২১ মে ২০২০, ২২:২৫

করোনায় টেলিমেডিসিনের গুরুত্ব বাড়ছে

  © টিডিসি ফটো

করোনাকালে দেশ-বিদেশে টেলিমেডিসিনের গুরুত্ব বাড়ছে বলে মনে করেছেন চিকিচিৎসা বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে লকডাউনের কারণে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এখন গৃহবন্দি। এ পরিস্থিতিতে হাসপাতালে না গিয়ে ঘরে বসে স্মার্টফোনসহ প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে সাধারণ রোগসমূহের চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন অনেক সেবাপ্রার্থী। এর ফলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি খরচ ও ঝুঁকি— দুটোই কমছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনিস্টিউটের উদ্যোগে ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল হেলথ কেয়ার’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াজোঁ অফিসে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. তানভীর আবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেজর নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহ।

আলোচনা সভায় ঢাকাস্থ ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল হামিদ, এনডিসি, পিএসসি (এলপিআার) মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুস্থ এবং করোনা আক্রান্ত উভয় ব্যক্তিরাই ঘরে থাকা জরুরি। এ পরিস্থিতিতে টেলিমেডেসিন নামক ভার্চুয়াল যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অনেক সেবাপ্রার্থী চিকিৎসা নিচ্ছেন। যেটি ডিজিটাল হেলথ বা ই-চিকিৎসা সেবার একটি অংশ। এর মাধ্যমে রোগী এবং ডাক্তারের মাঝে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে, ইউরোপসহ বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্রে একই ধরনের চর্চা করা হচ্ছে। তবে আমাদের স্বাস্থ্যখাতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। 

মতবিনিময় সভায় অনলাইনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি হাসপাতালের, স্কুল অব হেলথ সায়েন্সের প্রভাষক ড. কিংসলে অঘো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। টেলিস্বাস্থ্য এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে তিনি বলেন, জনগণ স্মার্টফোনসহ প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেলিমেডেসিন সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। এসময় তিনি বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে অনেকের স্মার্টফোন না থাকায় স্টকহোল্ডারসহ সরকারের প্রতি জনগণের জন্য প্রযুক্তি সুবিধা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেজর নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহ বলেন, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড, স্কান্ডেনেভিয়ান দেশসমূহসহ যেসকল দেশ কার্যকরভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করেছে বাংলাদেশ সরকার তাদের কিছু কার্যক্রম প্রয়োগ করতে পারে। তিনি আর দেরি না করে স্টকহোল্ডার এবং সরকারকে জনগণের নিকট স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করার আহ্বান জানান।

এমিনেন্স এসোসিয়েটস ফর সোস্যাল ডেভলেপমেন্টের বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শামীম হায়দার তালুকদার সকল অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চলমান মহামারীতে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের নিকট স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে আমাদের সকলের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।