২১ মে ২০২০, ১৩:১৫

এক পিপিই বারবার পরতে বাধ্য হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৮৭ শতাংশ নার্স!

  © সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডব। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশটির স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে এসেছে। দেশটির প্রায় একশ জনের মতো নার্স করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এই মহামারির সময় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া নার্সরা রয়েছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ নার্সরা জানিয়েছেন, তাদের কভিড-১৯ রোগের কোনো পরীক্ষা করা হচ্ছে না। ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) পুনরায় ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। কভিড-১৯ রোগীদের যত্ন নেওয়ার সময় ত্বক বা পোশাক উন্মুক্ত করতে হচ্ছে। দেশটিতে করা এক গবেষণায় এই তথ্য জানিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি এক জরিপে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রের ৮৭ শতাংশ নার্সই পিপিই ও এন-৯৫ মাস্কের মতো সুরক্ষা সামগ্রীগুলো একাধিকবার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ সেগুলো একবারের বেশি ব্যবহার করার কথা নয়। ৮৪ শতাংশ নার্স জানিয়েছেন তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়নি।

জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের এবং ওয়াশিংটন ডিসির মোট ২৩ হাজারের বেশি ইউনিয়ন ও নন-ইউনিয়নভুক্ত নার্সকে তাদের কাজের পরিবেশ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১০ মে’র মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল নার্স ইউনাইটেড এই জরিপ পরিচালিত করে।

জরিপে ভয়াবহ সব তথ্য উঠে আসে। ৮৪ শতাংশ নার্সের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয় না। ৮৭ শতাংশ নার্সকে পিপিই ও এন-৯৫ মাস্কের মতো সুরক্ষা সামগ্রী বারবার পরতে বাধ্য করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল নার্সেস ইউনাইটেডের প্রেসিডেন্ট জ্যান রস বলেন, আমরা এই গ্রহের সবচেয়ে ধনী দেশ, আমাদের লোভের কারণে এবং রোগীদের কল্যাণ নিয়ে না ভাবার কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই দুর্দশা। শ্রমিকদের কল্যাণে নিয়ে পর্যাপ্ত ভাবা হয়নি এটা পরিষ্কার।

ন্যাশনাল নার্সেস ইউনাইটেডের নির্বাহী পরিচালক বনি ক্যাস্তিলো বলেন, রোগীদের সেবা করার জন্যই নার্সরা নিবন্ধন করেছেন। মহামারির সময়ে অকারণে মারা যাওয়ার জন্য নয়। নিয়োগকর্তা ও প্রশাসনের কাছে আমাদের স্পষ্ট বার্তা হলো, আমাদের জন্য, জনসাধারণের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই দিন।