করোনা শনাক্তের কিট সরবরাহের তারিখ জানাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বড় সুখবর দিলো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। অবশেষে আজ রোববার করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট তৈরির কাঁচামাল পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে করোনা পরীক্ষার কিট তৈরির প্রস্তুতি নিলেও কাঁচামাল (রি-এজেন্ট) না থাকায় তা শুরু করতে পারেনি তারা।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, চীন থেকে আসা কীট দিয়ে ১০ হাজার সন্দেহভাজন রোগীর করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। তিনি বলেন, ‘লকডাউন থাকলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও এনবিআরের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় কাঁচামাল দ্রুত হাতে পেয়েছি। সবকিছু সহজ করে দিয়েছেন তারা। কাঁচামালগুলো সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আছে।’ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি।

আগামী ১১ এপ্রিল ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সরকারের কাছে করোনা সনাক্তকরণের কীট বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি জানান, সেগুলো তৈরির আগে তাদের কীট তৈরির জন্য করোনায় আক্রান্ত পাঁচ জন রোগীর রক্ত প্রয়োজন হবে।

তিনি বলেন, কাঁচামাল সরবরাহে সহায়তা করেছেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও এনবিআরের চেয়ারম্যান। ধন্যবাদ তাদেরকে, কারণ তারা বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিমানবন্দরে ট্যাক্স শুল্কমুক্ত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করেছেন তারা।

সম্প্রতি করোনা শনাক্তে পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকরা। পরে সরকারের কাছে কিট তৈরির কাঁচামালের আমদানির অনুমতি পায়। ডা. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে চার চিকিৎসক নিহাদ আদনান, মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন ও ফিরোজ আহমেদ কীট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন।

এর আগে ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন বিজন কুমার শীল। তিনি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয়, এটা মোটামুটি সে ধরণের পদ্ধতি। এরমাধ্যমে পাঁচ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে।

জানা গেছে, এ পদ্ধতিতে ৩৫০ টাকায় ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব। তবে সরকার যদি ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে, তাহলে দুই থেকে আড়াই শ টাকায় এটি বাজারজাত করা যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ