যশোরে করোনা প্রতিরোধে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের একক প্রচেষ্টা!

  © টিডিসি ফটো

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরোধে একাই নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন খালেদূর রহমান কচি। নিজের আর্থিক অস্বচ্ছলতা থাকা সত্তেও প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আশেপাশের মানুষজনদের রক্ষা করতে নীরবে-নিভৃতে একাকী সংগ্রাম করে চলেছেন তিনি। অভাব-অনটনের মধ্যে থেকেও কিভাবে সমাজের বিভিন্ন তাগিদে কিভাবে এগিয়ে আসতে হয়, সে দৃষ্টান্ত করেছে কচি।

যশোরের বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়ির ইউনিয়নের ঘটনা এটি। স্বল্প আয়ের কচি (৪০) তার একক প্রচেষ্টায় প্লাস্টিক, শপিংয়ের টিস্যু ব্যাগ এবং সুতা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে সেগুলো ডিটারজেন্টে জীবানুমুক্ত করে এবং সেখান থেকে ফেব্রিক কেটে সুই-সুতার মাধ্যমে সেলাই করে মাস্ক তৈরি করেন তিনি।

এভাবেই তিনি ২০০-৩০০ মাস্ক তৈরি করে গ্রামের মুরব্বীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসেন। এরপর থেকে মাস্ক বানাতে নিজ খরছে টিস্যু ব্যাগ কিনা লাগেনি। প্রতিবেশীরাই তার বাড়িতে টিস্যুব্যাগ দিয়ে যায়। এভাবে কচি বিপুল পরিমানে মাস্ক তৈরি করে ঘরে ঘরে, দোকানে দোকানে পৌঁছে দিয়ে আসেন।

জানা যায়, কচির বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সাংবাদিক ছিলেন। অভাব-অনটনে দিনাতিপাত করা কচির, সমাজের এমন দুর্যোগের সময় এগিয়ে আসা এলাকার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। 

এ বিষয়ে নারিকেলবাড়িয়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল সরদার বলেন, আমার বাড়িও কচির বাড়ির পাশেই। তিনি ভদ্র ছেলে, গরীব লোকের কল্যাণে কাজ করেছে যা সমাজের অন্যদের একইভাবে এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ