করোনাভাইরাসে ইউরোপে প্রথম মৃত্যু

  © ফাইল ফটো

এশিয়ার বাইরে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে এই প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই রোগে ফ্রান্সে এক চীনা পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ফরাসি সরকার। ওই ব্যক্তির বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ফ্রান্সে বেড়াতে এসেছিলেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চীনের ওই পর্যটক গত ১৬ জানুয়ারি ফ্রান্সে আসেন। ২৫ জানুয়ারি প্যারিসে থাকা অবস্থায় তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছিল। এর আগে চীনের বাইরে শুধু হংকং, ফিলিপাইন ও জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির ফুসফুস সংক্রমিত হয়েছিল। ওই ব্যক্তির মেয়েও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে তিনি এখন সুস্থ হওয়ার পথে।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ওই করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়। এই এলাকায় এখন পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সম্প্রতি আরও আড়াই হাজারের বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে চীনে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসক-নার্সরাও দ্রুত নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে ছয় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। দেশজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৭১৬ জন চিকিৎসক-নার্স।

ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ফ্রান্সে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চিহ্নিত হয়। গত মাসের শেষের দিকে দেশটিতে ১১ জন ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হয়। এর মধ্যে ৬ জন এখনো হাসপাতালে আছে। এরই মধ্যে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ লোকের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এরই মধ্যে চীনের বাইরে প্রায় ২৪টি দেশে নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ শরও বেশি মানুষ।


সর্বশেষ সংবাদ