আজ দীর্ঘতম রাত, ভালবাসার মানুষকে সময় দিন

আজ দীর্ঘতম রাত
আজ দীর্ঘতম রাত  © ফাইল ফটো

বছরের দীর্ঘতম রাতটি হতে যাচ্ছে আজ ২১ ডিসেম্বর। এ রাতেই চাঁদের আলো সঙ্গে নিয়ে চলতি বছরের দীর্ঘতম রাতের অভিজ্ঞতা নেবে সবাই। যেহেতু দীর্ঘতম রাত তাই, এটি একটু আলাদাভাবে উপভোগও করতে পারেন। এমনই কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক-

বড় রাত, লম্বা ঘুম
পুরো সপ্তাহে স্কুল-কলেজের ব্যস্ততা কিংবা অফিসের ঝামেলায় যারা ঘুমাতে পারেননি তারা রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস শুরু হওয়ার আগের বড় একটি রাতের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। লম্বা একটা ঘুম দিয়ে উঠতে পারেন।

আড্ডায় মাতুন
যেহেতু শীতকাল, আর সাথে রাতটাও বড়। প্রচণ্ড শীতের এই রাতে লেপের সঙ্গে বন্ধুত্ব না বাড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে পারেন। তবে খেয়াল রাখা দরকার- ঠাণ্ডা নিবারণে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি যেনো থাকে।

ব্যাডমিন্টন খেলতে পারেন

বাঙালি সংস্কৃতির শীতকালটা আর ব্যাডমিন্টন খেলাটা বর্তমান তরুনীদের মাঝে একাকার হয়ে গেছে। এ যেন শীতকাল মানেই গভীর রাত পর্যন্ত লাইটের আলোতে ব্যাডমিন্টন খেলা। বড় রাতে বন্ধু-বান্ধব কিংবা খুব কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলে স্মরণীয় করে রাখতে পারেন। শীতটাও উপভোগ হলো, রাতটাও কাটানো হলো।

দেখুন: ঘরে ঘরে চাকরির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে আ.লীগ

লং ড্রাইভে যান
নিজের প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন লং ড্রাইভে। কুয়াশাচ্ছন্ন নীরব রাতে নতুন অভিজ্ঞতা হবে নিশ্চিত। তবে পথে সতর্ক থাকা জরুরি। একদিকে যেমন কুয়াশায় আলো স্বল্পতায় পথ দেখতে যেমন সমস্যা হতে পারে তেমনি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও আছে।

দেখুন: ছাত্রদলে বিদ্রোহের সুর পদবঞ্চিতদের

ভালবাসার মানুষকে সময় দিন
ভালবাসার মানুষগুলোকে সময় দিতে পারেন। যদি প্রেমে পড়েন তবে প্রেমিকার সঙ্গে চ্যাটিং বা ফোনালাপে মজতে পারেন। রাত ফুরাবে না সহজে। আর যদি বন্ধুকে এখনো প্রেম নিবেদনের সুযোগ না পেয়ে থাকেন তবে বছরের সবচেয়ে বড় এ রাতটিই হতে পারে সেই সুযোগের মোক্ষম সময়। যদি এমন হয়- অনেক দিন ধরেই বলবেন বলবেন ভাবছেন কিন্তু বলা হয়ে উঠছে না। তাহলে আজ রাতেই সুযোগটা নিয়ে নিন। বলা হয়, রাত বাড়লে নাকি মানুষের মধ্যে রোমান্টিকতা বাড়ে।

প্রিয় লেখকের বই পড়ুন

এ বড় রাতে প্রিয় লেখকের বই পড়তে শুরু করা মন্দ হবে না। অনেকের অনেক প্রিয় লেখক আছেন। ইংরেজি হোক কিংবা বাংলা, যেই বই হোক পড়া শুরু করে দিতে পারেন। বই পড়ার আনন্দের সঙ্গে বড় রাতটাকে উপভোগ করতে পারেন। বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী পড়ুন। বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী থেকে নূন্যতম হলেও পড়ার মাধ্যমে নিজের জীবনে ধারণ করতে পারেন। মাঝে মাঝে কবিতা পড়ুন।

আত্মসমালোচনা

সবাই আত্মসমালোচনা করতে পারে না। মানুষ হিসেবে সবাই কোন না কোন ক্ষেত্রে গিয়ে ভুল করে ফেলে। এক্ষেত্রে কিছু মানুষ আছে নিজেদের ভুল গুলো বুঝতে পারে। এরমধ্যে বড় একটা অংশ থেকে যায় যারা নিজেদের করা ভুলগুলো বুঝতেও পারে না। নিজের করা ভুলগুলো অনুধাবন করে আত্মসমালোচনা করুন। বড় রাতের গভীর মূহুর্তে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারেন।

সারপ্রাইজ দিন

বড় রাতে আপনজনকে সারপ্রাইজ দিন। এ রাতে আপনজনকে সারপ্রাইজের মাধ্যমে অনেক আনন্দ দিতে পারবেন। সারপ্রাইজ আপনজনকে খুশি করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা মাধ্যম। সারপ্রাইজ যেকোন সময়ই দেওয়া যায়। তারমধ্যে যদি কোন উপলক্ষ্য থেকে থাকে তাহলে তো ভালোই হয়।

ইবাদত করতে পারেন

ধর্মীয় ভাবে মুসলমানদে রাতের ইবাদত অত্যন্ত পরিষ্কার, স্বচ্ছ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থেও বলা আছে। মুসলমানদের রাতে ইবাদত একমাত্র সৃষ্টিকর্তার জন্য হয়ে থাকে। এরমধ্যে কোন লোক দেখানোর সুযোগ নেই। সুতরাং নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত এবং জিকিরের মাধ্যমেও এ বড় রাত্রিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারেন।

এছাড়া অন্যান্য ধর্মালম্বীদের জন্য ধর্মীয়ভাবে তাদের রীতিনীতির অনুসরণ করতে পারেন। স্রষ্টার কাছে নিজের মঙ্গল কামনার মাধ্যমে তার নৈকট্য হাসিলের মাধ্যম হতে পারে এবারের বড় রাত।


সর্বশেষ সংবাদ