গবেষকদের কুকুর দিয়ে ক্যান্সার শনাক্ত করার কৌশল 

  © সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ‘আমেরিকান সোসাইটি ফর বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি’র গবেষকদের মতে, কুকুরের তীব্র ঘ্রাণশক্তি প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার শনাক্ত করতে সক্ষম। ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভুলভাবে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে কুকুর! তবে তার জন্য তাদের সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার পর এ বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা। ক্যান্সারের চিকিত্সার বিপুল খরচ হওয়ার কারণে মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ক্যান্সার একটি আতঙ্ক। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় ক্যান্সারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যান্সার ধরা পড়ে তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে। এ পরিস্থিতিতে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

জানা গেছে, এ পরীক্ষার জন্য চারটি বিগল প্রজাতির কুকুরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ দেয়ার পর ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তদের রক্তের সিরাম এবং সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তিদের রক্তের সিরামের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম হয় কুকুরগুলি।

আমেরিকান সোসাইটি ফর বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি’র অধ্যাপক হিথার জ্যানকুয়েরা (Heather Junqueira) জানান, কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের তুলনায় ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। তাই এই পদ্ধতিতে কুকুরের ঘ্রাণশক্তি কাজে লাগিয়ে যদি প্রাথমিক পর্যায়েই রোগটিকে শনাক্ত করা যায়, সেক্ষেত্রে ক্যান্সার সারিয়ে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ