ধূমপায়ী ব্যক্তির বীভৎস ফুসফুস নিয়ে তোলপাড়

ধূমপান যে স্বাস্থ্যের জন্য কতখানি ক্ষতিকর তা সবারই জানা। তার পরেও হেলদোল নেই ধূমপায়ীদের। সম্প্রতি এমনই এক ধূমপায়ী ব্যক্তির ফুসফুসের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। সেই ভিডিওটি ৩০ বছর ধরে ধূমপান করে চলা এক ব্যক্তির ফুসফুস দেখা যায়।

ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ধূমপানের ফলে একেবারে কালো হয়ে গেছে তার ফুসফুস। ভিডিওটি চীনের ইউকসি পিপলস হসপিটালের। সেখানেই ওই পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া ফুসফুস দান করেন এক ব্যক্তি। সেখানকার ডাক্তার চেন জিয়াংগু এবং তাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনকারী দল ওই ফুসফুস নিয়ে গবেষণা করছেন।

মৃত্যুর পর অনেকেই বিভিন্ন অঙ্গ দান করার ব্যাপারে আগেই জানিয়ে যান। অবশ্যই এটা অত্যন্ত ভালো পদক্ষেপ। তবে দান করার আগে নিজের দেহের কোন অংশ কী অবস্থায় রয়েছে সেটা যাচাই করে নেওয়াও ভীষণ প্রয়োজন। সিগারেট খেয়ে পুড়িয়ে ফেলা ফুসফুস অন্যকে দান করা জীবনদান নয়, বরং মৃত্যুকেই ত্বরান্বিত করা।

ডাক্তার চেন জিয়াংগু জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি ওই ফুসফুস দান করেছেন, তার মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু ওই ফুসফুসের ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখার পর অন্য কোনো রোগীর দেহেই তা বসানো যায় না। যদি কোনো রোগীর দেহে এই ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়, তাহলে তার লাং ক্যালসিফিকেশন, বুলোস লাং ডিজিস এবং পালমোনারি এমফাইসেমার মতো ফুসফুসের নানা রোগ হতে পারে।

ডাক্তার জিয়াংগু আরো বলেন, আমার দল এই ফুসফুসের প্রতিস্থাপন করতে অস্বীকার করছে। যদি কোনো ব্যক্তি ভীষণ সিগারেট খান, বেশিই ধূমপান করেন তাহলে তাদের ফুসফুস কখনোই অন্য কাউকে দান করা উচিত নয়।

ডাক্তার আরো জানিয়েছেন, নিজের ফুসফুস দান করার আগে এই ব্যক্তির সিটি স্ক্যান করা হয়নি। কারণ তার আগেই এই রোগীর মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ডাক্তারের কথায়, প্রাথমিকভাবে অক্সিজেন ইনডেক্সের পরে যখন ফুসফুসগুলো দেখি তখন মনে হয়েছিল তা ট্রান্সপ্লান্ট করা যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ