ডায়াবেটিস যেভাবে দৃষ্টিশক্তি ধ্বংস করে

  © ফাইল ফটো

সারা বিশ্বের মতোই বাংলাদেশে যেভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ক্রমশ বেড়ে চলছে, তাতে রক্তে সুগারের বৃদ্ধি নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এই রক্তে চিনিই ধ্বংস করছে চোখের দৃষ্টিশক্তি।

অনেকে অবশ্য টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ে ১৭-১৮ বছর দিব্যি কাটিয়ে দেন। জিনের কারণেই তাঁদের চোখ, কিডনি মোটামুটি ঠিকঠাক থাকে। বাকিদের ক্ষেত্রে মোটামুটি বছর পাঁচেক পর চোখের নার্ভ বা রেটিনা খারাপ হয়ে দৃষ্টিশক্তি খারাপ হতে শুরু করে, যাকে বলে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি।

সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকলে রোগ ঠেকিয়ে রাখা যায় বহু দিন। রোগের জটিলতাও কম থাকে। গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন বা এইচবিএ১সি ৭ এর নীচে রাখতে পারলে খুব ভালো। সাত-আটের মধ্যে থাকলেও বিপদ আছে। ৮-৯ হলে তো চোখের অবস্থা তাড়াতাড়ি জটিল হয়। নয়ের বেশি হলে তো কথাই নেই! সঙ্গে হাইপ্রেশার, হাই কোলেস্টেরল-ট্রাইগ্লিসারাইড থাকলে বিপদ বাড়ে। ডায়াবেটিক আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের রেটিনোপ্যাথি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ওবেসিটি থাকলেও বিরাট ঝামেলা।

রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

টাইপ-১ ডায়াবেটিস হওয়ার ৫ বছর পর থেকে প্রতি বছর চোখের রেটিনা, কিডনি ও নার্ভ পরীক্ষা করে দেখতে হয়।

টাইপ-২ হলে শুরু থেকেই প্রতি বছর পরীক্ষা করতে হবে। রেটিনায় গোলমাল হলে সাধারণত লেজার দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। কখনও কিছু ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এতে রোগ খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিস, হাইপ্রেশার, হাই কোলেস্টেরল ও মেদবাহুল্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে এ নিয়ে আর চিন্তার তেমন কিছু থাকে না। তাই নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি, ওষুধ পথ্য ও নিয়মিত পরীক্ষায় নিজেকে সুস্থ রাখুন।


সর্বশেষ সংবাদ