গেজেটভুক্তির ১ বছরেও সরকারি হয়নি শিক্ষক–কর্মচারীদের চাকরি

  © সংগৃহীত

গেজেট ভুক্তির ১ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও ৩০১টি কলেজের কমবেশি প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি এখনো সরকারি হয়নি।শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ না হওয়ায় এখনো সরকারি সুবিধা পাচ্ছে না এই কলেজেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা।

জানা গেছে, যে সকল উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই সেই সকল উপজেলায় একটি করে সরকারি কলেজ করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন উপজেলার ২৭১ টি কলেজ সরকারি গেজেট ভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো সরকারি করা হলেও চাকরি এখনো সরকারি হয়নি। চাকরি সরকারিকরণে দেরি হওয়ায় অনেক শিক্ষকই অবসরে যেতে চাচ্ছেন। শিক্ষকরা বলছেন অতিদ্রুত যেন তাদের চাকরি সরকারি করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরাও চেষ্টা করছেন যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি সরকারি হয়। কিন্তু যাচাইয়ে দেখা যাচ্ছে, বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া এসব কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি বড় অংশের নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ঘাটতি রয়েছে।

কলেজগুলো সরকারি করার জন্য এসব কলেজের শিক্ষকদের তথ্য যাচাই করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর কাজটি করছে মাউশি। অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিন তিনটি কলেজ করে মোট ১০০ দিনের মধ্যে সবগুলো কলেজের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ২১ জন কর্মকর্তাকে শুধু এই কাজের জন্য যুক্ত করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে ১২৬টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টির তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কাজটি করতে গিয়ে তাঁরা দেখছেন, প্রায় ২০ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ঘাটতি রয়েছে। এসব কাগজ পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও অনেকে দিতে পারছেন না। এসব কাগজপত্র ছাড়া সরকারি করাও কঠিন।

মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবীর বলেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন মন্ত্রণালয়ে যেন একেবারে নির্ভুলভাবে কাগজগুলো যায়। আশা করছেন তাঁদের পর্যায়ের কাজটি সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।


সর্বশেষ সংবাদ