ইনিংস ব্যবধানে টাইগারদের স্বস্তির জয়

  © সংগৃহীত

ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে নাঈমের স্পিন ঘূর্ণিতে চতুর্থ দিনের চা-বিরতির আগেই গুটিয়ে গেছে আরভিনের জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া নাঈম দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে পুরো ব্যাট করতে পারেনি তারা। এ সেশনে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। এতে মিরপুর টেস্ট ইনিংস ও ১০৬ রানে জিতল বাংলাদেশ।

1 (6)

৪৫০ দিন পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ২ ডিসেম্বর এই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ছয় টেস্টে হারতে হয়েছে। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় ইনিংস ব্যবধানে জয়।

মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরিতে ২৯৫ রানের লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে তৃতীয় দিন শেষে ৯ রানে দুই উইকেট হারায় সফরকারীরা। ইনিংস হার এড়াতে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল আরও ২৮৬ রান। তবে নাঈম-তাইজুলের স্পিন দাপটে তছনছ হয় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ।

টানা ছয় টেস্টে হারের পর প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে ১৮৯ রানে অলআউটের লজ্জা দেয় বাংলাদেশ। দুই দলের আন্তর্জাতিক লড়াইয়ের শততম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়েছে টাইগার শিবির। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২৬৫ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ৫৬০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক শিবির। সময়ের হিসেবে ৪৫০ দিন পর এটি বাংলাদেশের টেস্ট জয়। সবশেষ ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে হারিয়েছিল মুমিনুলরা। এরপর টানা ছয় টেস্টে হেরে বসে বাংলাদেশ। অবশেষে ঢাকা টেস্টে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ল মুমিনুল-মুশফিকরা।

2 (13)

জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের পেসাররা কোনো উইকেট পাননি। একটি রান আউট বাদে বাকি ৯ উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন দুই স্পিনার নাঈম হাসান (৫/৮২) ও তাইজুল (৪/৭৮)। অফ স্পিনার নাঈম অবশ্য নিজেকে ভাগ্যবিড়ম্বিত ভাবতেই পারেন। ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া যে হলো না! জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৭০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। টেস্টে এক ম্যাচে এটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (৯/১৫২)। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনের ব্যাট থেকে।

চতুর্থ দিনে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ওপেনার কাসুজা, টেইলর ও অধিনায়ক আরভিনের উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি সফরকারী শিবির। মারুমা ৪১ ও সিকান্দার রাজা ৩৭ রান করলেও তাতে ইনিংস হার এড়াতে পারেনি তারা। নাঈম ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো তুলে নেন ৫ উইকেট। আর তাইজুল শিকার করেন ৪ উইকেট।


সর্বশেষ সংবাদ