অবশেষে বন্ধু হত্যার মিথ্যে অভিযোগ থেকে মুক্ত হলাম: ডন

  © সংগৃহীত

পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছেন জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। এমন তথ্য সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি। এর ফলে সালমান খুনে অভিযুক্তরা সব দায় থেকে মুক্ত হলেন বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।

এদিকে পিবিআইয়ের এই প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সালমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি অভিনতো আশরাফুল হক ডন। এ বিষয়ে তিনি জানান, ‘আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। অবশেষে কলিজার বন্ধুকে হত্যার মিথ্যে অভিযোগ থেকে মুক্ত হলাম। আমি সবসময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম।

২৪টা বছর বুকের ভেতর বন্ধু হত্যার মিথ্যা অপবাদ আমাকে নিয়ে ঘুরতে হয়েছে। আমার যে ক্ষতি হয়েছে তার পূরণ কিছুতেই হবে না। আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম। সত্য কোনোদিন মিথ্যে হয় না। আর মিথ্যেকেও কোনোদিন জোর করে সত্যি বানানো যায় না।

সালমান শাহ ছিল আমার কলিজার বন্ধু। এটা এই ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানে। তার মৃত্যুতে কিন্তু আমারই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো। নায়ক-ভিলেন হিসেবে আমাদের যে জুটি ছিল সেটি তরুণদের কাছে অনেক অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সালমান চলে যাবার পর আমিও আর সিনেমায় তেমনভাবে নিয়মিত হতে পারিনি। তবু আমার ওপর বন্ধু খুনের মিথ্যে দায় চাপানো হলো। কত কষ্ট, জ্বালা-যন্ত্রণা আমি সয়েছি দীর্ঘ এই ২৪ বছর সেটা আমিই কেবল জানি।’

পিবিআইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ডন বলেন, ‘আইন যা বলে তার উপরে কারোর কিছু করার নেই। সালমান হত্যার তদন্তের জন্য অনেক তদন্ত হয়েছে। সর্বশেষ পিবিআই তদন্ত করলো। তারা অনেক সময় কাজটি করেছে। আমাকেও ডেকেছিলেন দুই মাস আগে। গিয়েছি। জবানবন্দী দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকেই তারা তলব করা হয়েছে বলে শুনেছি। তার ভিত্তিতে এই আত্মহত্যার প্রতিবেদন এলো। আমি দেশের আইন ব্যবস্থা এবং পিবিআইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে দুই যুগ ধরে চলে আসা একটি রহস্যের মীমাংসা তারা করেছেন।’

এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘সালমান শাহ এই দেশের মানুষের কাছে একটি আবেগের নাম। মৃত্যুর এতগুলো বছর পেরিয়েও সে সবার কাছে জীবন্ত। আমি বহুবার ভেবেছি যদি এমন হতো মীরাকল ঘটে গেছে একটা। সালমান ফিরে এসেছে। আবার দুজন সিনেমা করতাম। এ দেশের মানুষ জানতো সালমান আমাকে কতোটা ভালোবাসে। কিন্তু এ তো কেবলই কল্পনা। সালমান আসেনি, আসবেও না। আমার বন্ধুকে যেন আল্লাহ ওপারে ভালো রাখে সেই দোয়া চাই সবার কাছে।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহকে ঢাকার বাসায় নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে প্রথমে হলি ফ্যামিলি ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

 


সর্বশেষ সংবাদ