সালমান শাহের আত্মহত্যার পাঁচ কারণ চিহ্নিত

জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যার পাঁচটি বিষয় চিহ্নিত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত শেষে সোমবার ধানমন্ডিতে সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন ডাকে পিবিআই। সেখানে চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানান পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

পিবিআই তদন্তের পর জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড নয়, পারিবারিক কলহসহ নানা কারণে মানসিক যন্ত্রণায় বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কলহসহ নানা কারণে মানসিক যন্ত্রণায় তিনি আত্মহত্যা করেন।

সালমান শাহের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে ৫ টি বিষ্যকে চিহ্নিত করে পিবিআই। এগুলো হলো-

১. শাবনুরের সঙ্গে অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা

২. স্ত্রী সামিরার সাথে কলহ,

৩. মাত্রাতিরিক্ত আবেগ প্রবণতা

৪. একাধিকবার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা

৫. মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা জটিল সম্পর্কের বোড়াজালে এবং সন্তান না থাকায় হতাশা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি।

অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়।

সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। এরপর বেশ কয়েকবার একে আত্মহত্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হলেও সালমানের পরিবার তাতে নারাজি আবেদন করে পুনঃতদন্ত চায়।

প্রায় ১৮ বছর আগের এই মৃত্যুর ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা তা নির্ধারণে গত বছরের জানুয়ারি মাসে মামলাটি আবারও আদালতে ওঠে। তখন মামলাটি তদন্তে পিবিআইকে দায়িত্ব দেয় আদালত।


সর্বশেষ সংবাদ