শাবনূরকে নিয়ে নিয়মিত ঝগড়া হতো সালমান-সামিরার

  © সংগৃহীত

সতীনের সংসার করতে রাজি ছিলেন না সালমানের স্ত্রী সামিরা। এ নিয়ে নিয়মিত ঝগড়া হতো সালমান-সামিরার মাঝে। শাবনূরকে নিয়েও থাকার ইচ্ছে ছিলো সালমানের। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআইর) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ব্রিফিংয়ে এমনই তথ্য জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বাসার কর্মচারীরা সবাই এমন জবানবন্দীই দিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, শাবনূর-সামিরা দু’জনকে নিয়েই সংসার করতে চেয়েছিলেন সালমান। কেননা সালমান সামিরা এবং শাবনূর দু’জনকেই প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। এ কারণে দু’জনকেই বিয়ে করে সংসার করতে চেয়েছিলেন সালমান। কিন্তু সামিরা তাতে রাজি না থাকায় তাদের মধ্যে নিয়মিত ঝগড়া হতো’।

এর আগে সকালে পিবিআইয়ের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, হত্যা নয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন সালমান শাহ। চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যুর পর দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো তদন্তকারী সংস্থার প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি তার পরিবার। প্রথমে থানা পুলিশ পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে।

সেটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর সালমান শাহ অপমৃত্যু নাকি হত্যার শিকার তা নিশ্চিত হতে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে। সেটাও প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর র‌্যাব এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তদন্ত সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সর্বশেষ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা থাকলেও সালমান শাহ হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পিবিআই। এ কারণে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী ১৮ মার্চ।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

 

 

 


সর্বশেষ সংবাদ