হিন্দু মুসলমানের প্রেম: উড়বে ধর্ম, ছিঁড়বে কাঁটাতার

মিথিলা-সৃজিতের আলাপ বেশ কয়েক বছরের। বন্ধুত্ব থেকে শুরু। ধীরে ধীরে গাঢ় হয়েছে প্রেম। বেশ কয়েক মাস ধরেই তাদের বিয়ে নিয়ে নানা রকমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কেউ বলছিলেন, আগামী বছরের শুরুতে বিয়ে করবেন তারা, আবার কেউ কেউ বলছিলেন বিয়ে করতে করতে মার্চ মাস চলে আসবে। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) নতুন জীবনের যাত্রা শুরু করলেন সৃজিত-মিথিলা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাদের বিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি। নবদম্পতির প্রশংসা করে ছবিগুলোর কমেন্ট বক্স ভাসিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে বিরূপ, তীব্র কটাক্ষ ও আপত্তিকর মন্তব্যও কম জমা পড়েনি। অনেকেই এ নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য ও স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

শনিবার দুপুরে সৃজিত-মিথিলার বিয়ে নিয়ে বিস্ফোরণ মন্তব্য করেছেন ভারতে নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। ওই স্ট্যাটাসে সৃজিত-মিথিলার বিয়েকে দুই বাংলার মিলন হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তসলিমা নাসরিনের সেই স্ট্যাটাসটি দেয়া হলো, ‘সৃজিতকে জানি তার ছবি দেখে। মিথিলা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কাল ফেসবুকে দুজনের বিয়ের খবর পড়ার পর মিথিলা কে সে তথ্য গুগল করে পেয়েছি। ব্যাপারটা চমৎকার। এই প্রেমটা। সৃজিত মিথিলার প্রেম। হিন্দু মুসলমানের প্রেম। শুধু প্রেমই নয়, বিয়েও। পুব আর পশ্চিমের মিলন। এসব যত বেশি ঘটবে, তত উড়বে ধর্ম, ঘুচবে সংস্কার, ছিঁড়বে কাঁটাতার, মরবে বিদ্বেষ।’

শুক্রবার সন্ধ্যা নামতেই বিয়ের বাজনা বেজে ওঠে সৃজিতের দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাটে। লাল জহরকোট এবং কালো পাঞ্জাবিতে আসেন সৃজিত, আর মিথিলা পরেন লাল রঙের জামদানি শাড়ি। সাজ বিশেষ রকমের ছিল না; কপালে কেবল ছোট্ট টিপ এবং কানে-গলায় মানানসই গয়না। বিয়ের ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজনকে আমন্ত্রণ করেছেন সৃজিত।

মিথিলা জানিয়েছিলেন, বিয়ের সাজ, মেকআপ নিজেই করবেন। কিছু দিন আগে সৃজিত যখন ঢাকায় এসেছিলেন, তখন হবু বরের (বর্তমানে বর) জন্য অনেক কেনাকাটা সেরে নিয়েছিলেন। এবারেও নাকি কলকাতা যাওয়ার সময় বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ নিয়ে গেছেন মিথিলার বাবা-মা। সঙ্গে নিয়ে গেছেন মিথিলা-তাহসানের ছোট্ট মেয়ে আইরাকে।

 


সর্বশেষ সংবাদ