বাংলাদেশের ফুটবলে আরেক চমক

ফিনল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার তারিক কাজী। ১৯ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার খেলেছেন ফিনল্যান্ডের অনূর্ধ্ব- ১৭, অনূর্ধ্ব-১৮ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। এই ফুটবলারকে দলে ভিড়িয়ে বড় একটা চমকই উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা কিংস।

তারিকের দেশের বাড়ি নওগাঁয়। সে সুবাদে ছোটবেলা থেকেই বাংলাদেশে যাওয়া আসা তাঁর। ১৯ বছর বয়সী তারিক খেলেন রাইট ব্যাক পজিশনে। বর্তমানে খেলছেন নিজের জন্মস্থান ট্যাম্পেরে শহরের ক্লাব ইলভেস্ ট্যাম্পেরেতে। ফিনল্যান্ডের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল ক্লাব এটি। এ ক্লাবের হয়ে গত বছর ইউরোপা লিগের বাছাইপর্বে একটি ম্যাচে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তারিকের। আগামী মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ক্লাবটির সঙ্গে তাঁর চুক্তি।

এই সুযোগেই তাঁকে দলে ভেড়ানোর কাজটা সেরেছে বসুন্ধরা। বাংলাদেশি পাসপোর্ট এখনো হাতে না পেলেও এই সপ্তাহের মধ্যেই তা পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন ক্লাবের সভাপতি ইমরুল হাসান। এর পরেই তাঁর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করবে করপোরেট ক্লাবটি।

অনুশীলনে তারিকের পারফরম্যান্স দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন। কোচের উচ্ছ্বাসের কথা শোনালেন ইমরুল হাসান, ‘আমরা তারিককে ট্রায়ালে এনেছিলাম। তাঁর পারফরম্যান্স দেখে আমাদের কোচ খুবই উচ্ছ্বসিত। সে এখনই জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা রাখে বলে জানিয়েছেন আমাদের কোচ। ওর পাসপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। তবে এই সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

তারিকের ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন দেশের ও বসুন্ধরার অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ইমন বাবু। কয়েক সপ্তাহের অনুশীলন ও প্র্যাকটিস ম্যাচে তারিককে বড় মাপের খেলোয়াড় মনে হয়েছে ইমনের, ‘কোনো সন্দেহ নেই তারিক ভালো খেলোয়াড়। কারও সঙ্গে তুলনা করব না। তবে ও এখনই জাতীয় দলে খেলার মতো অবস্থায় আছে।’

বাংলাদেশের ফুটবলে সময়টা এখন জামাল ভূঁইয়ার। মাঠ ও মাঠের বাইরের সাফল্যে ভেসে যাওয়ার জোগাড় তাঁর। কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেনমার্ক থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন করা এই মিডফিল্ডার। তাঁর নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দল খেলছেও দুর্দান্ত। ক্লাব ফুটবলেও সফল বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। জামালের বৃহস্পতি যখন তুঙ্গে, তখনই বাংলাদেশের ফুটবলে আগমন ফিনল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার তারিক কাজীর। জামালের মতোই প্রবাস জীবন থেকে দেশের ফুটবলে আগমন ঘটছে তারিক কাজীর।