সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় প্রেরণার বাণী শিশিরের

  © ফাইল ফটো

ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন রাখায় আইসিসি কর্তৃক দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে নিজের দোষ মেনে নেয়ায় এক বছরের শাস্তি কমিয়ে নিয়েছে আইসিসি। ফলে আগামী এক বছরের সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হবে সাকিবকে।

স্বাভাবিকভাবেই এই চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অনেকটা ঝটকার মতো এসেছে তার পরিবারের সামনে। ক্রিকেট মাঠে যাকে দেখা যায় সবচেয়ে উৎফুল্ল, সেই সাকিবই যখন ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ- তখন এর প্রভাব তার পরিবারের ওপর পড়াটাই স্বাভাবিক।

তবে সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির এ বিষয়ে পরিচয় দিয়েছেন শক্ত মানসিকতার। জানিয়েছেন, জীবনে কঠিন সময় আসবেই, আর এগুলোকে শক্তভাবে মোকাবিলা করতে পারাটাই কিংবদন্তিদের উদাহরণ। এসব বিষয় লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিশির।

যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কিংবদন্তিরা কখনোই রাতারাতি কিংবদন্তি হয়ে যান না। তাদের অনেক কিছুর মধ্য দিয়েই যেতে হয়। কঠিন সময় আসবেই এবং তারা জানে কীভাবে শক্ত থেকে এসবের মোকাবেলা করতে হয়। আমরা জানি সাকিব আল হাসান কতটা শক্ত মনের মানুষ।’

‘এটা (আইসিসির নিষেধাজ্ঞা) বলা যায় নতুন শুরুর সূচনা। সে নিশ্চিতভাবেই আগের চেয়ে আরও শক্তভাবে ফিরে আসবে। ইনজুরির কারণে এর আগেও অনেকবার ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। আমরা সবাই দেখেছি বিশ্বকাপে সে কী দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে। এটা শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। আপনাদের সবার সমর্থন ও ভালোবাসায় আমরা আপ্লুত। সকলের এই ঐক্যটা জাতি হিসেবে খুব দরকার আমাদের।’

আকসুর ধারা ২.৪.৪ আর্টিকেলের মধ্যেই তিনটি অপরাধ করেছিলেন সাকিব। যেগুলো হচ্ছে-

১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের যে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল কিংবা ২০১৮ আইপিএলে প্রথম ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে কোনো কিছুই জানাননি।

আরও দেখুন: সাকিবকে দফায় দফায় প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতীয় জুয়াড়ি দীপক

২. একই ধারার অধীনে অপরাধ: ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ই আরো একটি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসিকে অবহিত করেননি।

৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন সংস্থাকে কিছুই জানাননি।

আরও দেখুন: বিসিবির সামনে সাকিবভক্তদের বিক্ষোভ


সর্বশেষ সংবাদ