দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় হুবহু এক নম্বর পেয়ে চমকে দিল যমজ বোন

  © হিন্দুস্তান টাইমস

জন্মলগ্নে ৯ মিনিটের ব্যবধান ছাড়া ভারতের নয়ডার দুই যমজ বোন মানসী ও মান্যর মধ্যে আর কোনও পার্থক্য নেই। এমনকি সদ্য প্রকাশিত সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলেও বিজ্ঞান শাখার দুই ছাত্রীই ৯৫.৮% নম্বর পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন।

২০০৩ সালের ৩ মার্চ নয় মিনিটের ব্যবধানে পৃথিবীর আলো দেখেছিল নয়ডার দুই বোন মানসী ও মান্য। ব্যস, এটুকুউ যা ফারাক দুই বোনের মধ্যে। মুখশ্রী, কণ্ঠস্বর, চেহারার গড়ন, চর্বিহীন খাবারের প্রতি আগ্রহ ও ব্যাডমিন্টনের প্রতি দারুন আকর্ষণ- সব কিছুতেই তাদের মধ্যে মিল ছোট থেকেই। সেই ধারা বজায় রেখে দুই বোনই সোমবার প্রকাশিত সিবিএসই পরীক্ষার ফলেও একই হারে নম্বর পেয়েছেন।

মানসীর কথায়, ‘খুব আনন্দ হচ্ছে যে পাঁচটি বিষয়ে আমাদের নম্বর সমান হয়েছে। মান্য অনেক পরিশ্রম করেছে এবং বোর্ড পরীক্ষায় আমার চেয়ে ভালো ফল প্রত্যাশা করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা একই নম্বর পেয়েছি। পদার্থ বিজ্ঞানে ও আমার চেয়ে ভালো, আর রসায়নে ওর চেয়ে আমার দখল বেশি।’

দুই বোনের পড়াশোনা গ্রেটার নয়ডার অ্যাস্টর পাবলিক স্কুলে। গোড়া থেকেই প্রতি বিষয়ে নিজেদের নম্বর নিয়ে ওদের রেষারেষি সকলের নজরে পড়ে। স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল জয়বীর ডাগর মজা করে জানিয়েছেন, দুই বোনকে এখনও তিনি গুলিয়ে ফেলেন।

তাঁর কথায়, ‘নম্বর দেখতে গিয়ে মনে হচ্ছিল, স্কুলের ক্ষেত্রে যেন রিপ্লে’স বিলিভ ইট অর নট ঘটে গিয়েছে। জুই বোনই ইংরেজি ও কম্পিউটার সায়েন্সে ৯৮ পেয়েছে, আর পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র এবং শারীরবিদ্যায় ৯৫ করে পেয়েছে।’

দুই মেয়ের সাফল্যে প্রচণ্ড গর্বিত তাদের বাবা-মা, যদিও তাদের নম্বরের মিল দেখে খুব আশ্চর্য বোধ করেননি তাঁরা। মনীষা-মান্যর বাবা, সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য সুচেতন রাজ সিং বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে সুখবর ভাগ করে নিতে আমাদের হাথরাসে এসেছি। দাদু-দিদার সঙ্গে শুভদিনটি কাটাচ্ছে দুই বোন। আনন্দ প্রকাশের জন্য যথেষ্ট শব্দ আমার সঞ্চয়ে নেই, তবে এ এক আশ্চর্য অনুভূতি।’

যমজ দুই বোনের মা বিজয়া সিং জানিয়েছেন, ‘এখন ওরা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে খুব পরিশ্রম করছে। আশা করি ওই পরীক্ষাতেও নিজেরে অবস্থান ওরা ধরে রাখতে সফল হবে।’ খবর: হিন্দুস্তান টাইমস।


সর্বশেষ সংবাদ