জিপিএ-৫ অর্জনে শিক্ষার্থীদের চাপ দেবেন না

  © সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা এবং পিইসি ও জেএসসির দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথমনারী শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনির উপস্থিতিতে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কল্লোল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, জিপিএ-৫ অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দেবেন না। শিক্ষার্থীরা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী ফলাফল অর্জন করলে সেটাই উত্তম। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে আমাদের সহযোগিতা করা উচিত। রোববার (১২ জানুয়ারি) অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, জিপিএ-৫ অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দেবেন না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে চিন্তা করার, সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানের সক্ষমতা তৈরিতে সহযোগিতা করতে হবে। আমাদের মধ্যে যদি মূল্যবোধ তৈরি না হয়, শিক্ষার্থীরা যদি ভালো মানুষ হতে না পারে তাহলে জিপিএ-৫ পেয়ে লাভ নেই। ভালো ফল যেমন জরুরি তেমনি ভালো মানুষ হওয়াও জরুরি।


কোচিং বাণিজ্য ও নোটবই বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিং মানেই খারাপ কিছু নয়। কোনো শিক্ষার্থী যদি ফল খারাপ করে বা লেখাপড়ায় অমনোযোগী থাকে তাহলে তার জন্য শিক্ষকের বাড়তি মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু তার জন্য যদি টাকার বিনিময়ে কোচিং করতে বাধ্য করা হয় তবেই খারাপ কিছু। এজন্য কোচিং বাণিজ্য ও নোটবই বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

কল্লোল ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, সংরক্ষিত আসনের এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ।

উপজেলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার ৬৬৫ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় কৃতি শিক্ষার্থীদের একটি করে ব্যাগ, ক্রেস্ট, সনদ ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি উপহার দেয়া হয়।
একই অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট কৃতিদের মধ্য থেকে দরিদ্র পরিবারের সেরা ২০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস’ শিক্ষাবৃত্তি ও ‘রওশান আরা কুদ্দুস’ শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ