এক শিক্ষা বোর্ডেই ইংরেজিতে ফেল ২৩ হাজার!

  © ফাইল ফটো

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবার ইংরেজি ও গণিতে রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। শুধু ইংরেজিতেই ২৩ হাজার ১৬০ জন পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। এছাড়া গণিতে ফেল করেছে ১৯ হাজার ৬৬৬ জন পরীক্ষার্থী।

এবারের ফলাফলে সবদিক থেকে এগিয়ে গেছেমেয়েরা। পাসের হার, জিপিএ-৫ সব কিছুতেই ছেলেদের তুলনায় তারা এগিয়ে। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার দুই লাখ ৬১ হাজার ৯৪৮ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি অংশ নেয়।

এর মধ্যে ছাত্রী ছিল এক লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ জন, আর ছাত্র এক লাখ ২৫ হাজার ৬৯৮ জন। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫.০১ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৮২.৭৩ শতাংশ। সে হিসেবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের পাসের হার ২.২৮ শতাংশ বেশি।

দিনাজপুর বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৭৬৫ জন। এর মধ্যে তিন হাজার ৪৮৮ জন মেয়ে। আর ছেলে তিন হাজার ২৭৭ জন ছেলে।

এবার জেএসসি পরীক্ষায় এ বোর্ড থেকে ৯টি স্কুলে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি। স্কুলগুলো হচ্ছে নীলফামারীর সদর উপজেলার রামগঞ্জ জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়, লালমনিরহাটের আদিদমারী উপজেলার গোবধা জুনিয়র হাই স্কুল, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মেহেরুন নেছা জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার আত্রাই জুনিয়র স্কুল, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপেরিগঞ্জ জুনিয়র গালর্স স্কুল, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেউরঝাড়ী জুনিয়র স্কুল, বোদা উপজেলার বোদা পউড়া আদর্শ জুনিয়র স্কুল, আটোয়ারী উপজেলার ছাপড়াঝাড় আদর্শ জেআর স্কুল এবং একই উপজেলার জসিমুন নেছা জুনিয়র গালর্স স্কুল।

এ ৯টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪২ জন। আগামী দিনে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদানের অনুমতি বাতিল হবে। গত বছর দিনাজপুর বোর্ডে শতভাগ ফেল করা স্কুলের সংখ্যা ছিল ১১টি। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৮ জন।

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তোফাজ্জুর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, ‘ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। ফলে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল খারাপ করেছে। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিক্ষকদের আগামীতে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ