জেএসসি-জেডিসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত ফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ ফল হস্তান্তর করেন তিনি।

ঘোষিত ফল অনুযায়ী, জেএসসি ও জেডিসিতে এবার পাস করেছে ২২ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১জন, গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৫৬ হাজার ৪৪২ জন। পাসের হার ৮৭.৯০ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ২.০৭ শতাংশ।

মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৯ জন। গত বছর ছিল ৬৮ হাজার ৯৬জন। বেড়েছে ১০ হাজার ৩৩৪জন। এছাড়া পাঁচ হাজার ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করেছে। তবে ৩৩টি প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩৩টি।

৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাস করেছে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৮ জন। বেড়েছে ৫৫ হাজার ২০০ জন। পাসের হার ৮৭.৫৮ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ২.৩০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬ হাজার ৭৪৭ জন। গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ১০ হাজার ৬৩৯ জন।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে তিন লাখ ৪১ হাজার ৫৫৩জন। বেড়েছে এক হাজার ২৪২জন। পাসের হার ৮৯.৭৭ শতাংশ। বেড়েশে ০.৭৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৬৮২জন। গত বছরের তুলনায় কমেছে ৩০৫জন। গত বছর এক হাজার ৯৮৭জন জিপিএ-৫ পায় মাদ্রাসা বোর্ডে। 

এর আগে সকালে এ ধরণের পরীক্ষায় ছেলেদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘গত কয়েকটি পরীক্ষার মতো এবারো মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সংখ্যা কম দেখা যাচ্ছে। আমি সংশ্লিষ্টদের বলব, এর কারণ খুঁজে বের করতে। আমরা এটি বের করব।’

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং জেএসসি ওজেডিসি পরীক্ষার ফল আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হস্তান্তর করা হয়। এসময় দেয়া বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।’ এসময় পাস করা কোমলমতি শিশুদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি এগোতে পারে না। এজন্য সারাদেশে স্কুল-কলেজ নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ মর্যাদা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নতুন বই, বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। স্কুলেগুলোতে টিফিনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’ শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধেও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। স্টেডিয়াম তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা টূর্নামেন্ট করা হচ্ছে। পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতেও নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রযুক্তি ও কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখনকার মেধাবী শিক্ষার্থীরা দ্রুত সবকিছু শিখে নেয়।’

অন্যদিকে, দুপুর ১টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীতে এবার ২৯ লাখ তিন হাজার ৬৩৮ জন এবং জেএসসি-জেডিসিতে ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।

মোবাইলে ফল জানতে: জেএসসি-জেডিসির ফল জানতে যে কোনো মোবাইল থেকে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৯ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও জেএসসি-জেডিসির ফল জানা যাবে।

সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ই-মেইলেও জেএসসি-জেডিসির ফলাফলের সফটকপি পাঠাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। প্রয়োজনে এদের কাছ থেকেও ফলাফলের কপি সংগ্রহ করা যাবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে।

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ফল জানতে যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে DPE লিখে স্পেস দিয়ে স্টুডেন্ট আইডি লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৯ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে প্রাথমিক সমাপনীর ফল জানা যাবে। আর ইবতেদায়ীর ফল পেতে EBT লিখে স্পেস দিয়ে স্টুডেন্ট আইডি লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৯ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

JSC: JSC<space>BOARD<space>ROLL<space>YEAR & SEND TO 16222
উদাহরণ: JSC DHA 123456 2019 & SEND TO 16222

JDC: JDC<space>MAD<space>ROLL<space>YEAR & SEND TO 16222
উদাহরণ: JDC MAD 123456 2019 & SEND TO 16222

এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের ওয়েবসাইট থেকেও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীর ফল জানা যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ