যবিপ্রবির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ছয়টি ইউনিটেরই ফলাফল একযোগে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তির আবেদন, ফলাফল প্রকাশ ও চয়েস ফর্ম পূরণসহ যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করা হয়।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিন্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, ডিন ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক, অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, ড. কিশোর মজুমদার, ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. জাফিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শেখ মিজানুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নাজমুল হাসান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যবিপ্রবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ছয়টি ইউনিটের মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ২৪৫টি আসনের বিপরীতে ১৪ হাজার ১৮৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ৭০২ জন। পাসের হার ৯.৯৭ শতাংশ। ‘বি’ ইউনিটে ১৯০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৪০১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৮ হাজার ৯৯৭ জন। পাসের হার ১৯.৯৮ শতাংশ। ‘সি’ ইউনিটে ২৫৫টি আসনের বিপরীতে ৯ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৭৫৪ জন। পাস করেন ৩ হাজার ৬২৩ জন। পাসের হার ৫৩.৬৪ শতাংশ। ‘ডি’ ইউনিটে ৪০টি আসনের বিপরীতে ৩ হাজার ৪৩৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এরমধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ১৮৫ জন। পাস করেন ৬৩ জন। পাসের হার ২.৮৮ শতাংশ। ‘ই’ ইউনিটে ২৫টি আসনের বিপরীতে ৯৯২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এরমধ্যে ৬৮৩ জন উপস্থিত ছিলেন। পাস করেন ৩০৫ জন। পাসের হার ৪৪.৬৫ শতাংশ। ‘এফ’ ইউনিটে ১৫৫টি আসনের বিপরীতে ২ হাজার ৯৬৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এরমধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ৪৪ জন। পাস করেন ৫২১ জন। পাসের হার ২৫.৪৮ শতাংশ।

৬টি ইউনিটে ৯১০ আসনের বিপরীতে মোট ৪৩ হাজার ১৮২ জন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩০ হাজার ১৪১ জন। পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৬৯.৮০ শতাংশ।

এ বছর ৬টি ইউনিটে ৭টি অনুষদের অধীনে ২৬টি বিভাগে মোট ৯১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এ আসনগুলো ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং যবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ ফলাফল পরবর্তীতে জানানো হবে।

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনলাইনে রবিবার থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ‘চয়েস ফর্ম’ পূরণ করতে পারবে। পরবর্তীতে ১ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিট, ২ ডিসেম্বর ‘বি’ ইউনিট, ৩ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিট, ৪ ডিসেম্বর ‘ডি’ ও ‘এফ’ ইউনিট এবং ৫ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটে উত্তীর্ণদের মেধা তালিকার ক্রম অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় তথ্যসমূহ বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.just.edu.bd থেকে জানা যাবে।

 


সর্বশেষ সংবাদ