নারীর হাতে শচীনের শেভ করার ছবি ভাইরাল

  © ফাইল ফটো

জীবনে কখনও এর আগে সেলুনে দাড়ি কাটেননি তিনি। এই প্রথমবার। আর প্রথমবারেই তিনি সাড়া ফেলে দিলেন। শচীন টেন্ডুলকার দাড়ি কাটতে গেলেন সেলুনে। সেই সেলুন আবার দুই বোনের।

পুরো ব্যাপারটাই যেন একটু অফ-বিট। তাই সাড়া পড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। মুম্বাইয়ের শচীন গেলেন উত্তর প্রদেশে দাড়ি কাটতে। ছবি দেখল নেট-দুনিয়া। দুই বোনের জীবনের লড়াই জানা হয়ে গেল সবার।

শেভিং ব্লেড প্রস্তুতকারক সংস্থা জিলেট-এর একটি বিজ্ঞাপন অনলাইনে সাড়া ফেলে দিয়েছে। উত্তর প্রদেশের বানওয়ারি তলা গ্রামের দুই বোনের সত্যিকারের জীবন কাহিনি অবলম্বনে তৈরি হয়েছে সেই বিজ্ঞাপন।

২০১৪ সালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই মেয়ের বাবা। তিনিই সেই সেলুন চালাতেন। কিন্তু হঠাত্ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় চরম অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সংসার চলবে কীভাবে? তখনই দুই বোন বড়সড় এক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সেলুন চালাবে তারাই। প্রথা ভাঙা সিদ্ধান্ত।

সমাজের একাংশ বিরোধিতা করতে পারে। সমস্ত শঙ্কা কাটিয়ে দুই বোন নেহা আর জ্যোতি নেমে পড়েন জীবন সংগ্রামে। শুরুর দিকে হাজারো বাধা এসে পড়ে। টিটকিরি থেকে শুরু করে কটূ কথা, সবই হজম করতে হচ্ছিল তাঁদের। এর পরই ছেলেদের মতো বেশ ধরার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কাজ চলতে থাকে।

দুই বোনের সেই ‘বার্বারশপ গার্লস’ সেলুনে হাজির হয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। ‘বার্বারশপ গার্লস’-এ তার শেভ করার ছবি প্রকাশ পায়।

নেহা আর জ্যোতির সঙ্গে ছবি পোস্ট করে শচীন লেখেন, ``আপনারা হয়তো জানেন না, আমি কখনও কারও কাছে শেভ করিনি। আজ সেই রেকর্ড ভাঙল। বার্বারশপ গালর্সদের সঙ্গে দেখা হওয়াটা দারুণ সম্মানের।’ নেহা আর জ্যোতির জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছে সংস্থাটি।

তথ্যসূত্র: জি নিউজ


সর্বশেষ সংবাদ