করোনা সংকট

ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে টিউশন ফি ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি

  © সংগৃহীত

করোনা সংক্রমণের মধ্যে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে টিউশন ফি ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অভিভাবক ফোরাম। আজ বুধবার (৮ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অভিভাবকদের একদিকে অর্থনৈতিক নেতিবাচক চাপ, অন্যদিকে রয়েছে সন্তানদের স্কুলবিহীন জীবন। আর ঠিক এই সময়ই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলো স্বাভাবিক স্কুল চলার সময়ের মতো পুরো টিউশন ফি সহ আনুষঙ্গিক খরচগুলো আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।

সংগঠনটি নেতারা বলছে, এ দেশে প্রায় সাড়ে চার লাখ শিক্ষার্থী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে লেখাপড়া করে। যার ৯০ শতাংশ মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অভিভাবকেরা অনেক কষ্টার্জিত উপার্জনের একটা বড় অংশ সন্তানদের লেখাপড়ার পেছনে বিনিয়োগ করছে।

এসময় সংবাদ সম্মেলন থেকে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এগুলো হলো—

১) সার্বিক বিবেচনায় মার্চ মাস থেকে শুরু করে করোনাকালীন বন্ধ সময়ের জন্য যৌক্তিক ৫০ শতাংশ টিউশন ফি হ্রাস এবং অন্যান্য ফি না নেওয়ার অনুরোধ

২) ইংরেজি মাধ্যম স্কুল শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে একটি স্বায়ত্তশাসিত নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন

৩) সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার গুণগত মান সুনিশ্চিত করা

৪) প্রতিটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন হবে এবং এই কমিটিতে কমপক্ষে দুজন নির্বাচিত অভিভাবক প্রতিনিধির অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা

৫) দেশের সব ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ভর্তি ফি, টিউশন ফিসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি যৌক্তিককরণ

৬) এ মহামারির সময়ে যেসব অভিভাবক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে স্কুলের রি-অ্যাডমিশন ফি, বকেয়া টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি জমা দিতে সক্ষম হয়নি, তাদের সন্তানদের এই অজুহাতে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা যাবে না এবং সেই সঙ্গে স্কুলের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে তাদের সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ৫০ শতাংশ ফি দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

এই ছয় দফা দাবির বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়েছে।