করোনা: ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের টিউশন ফি ৫০ শতাংশ মওকুফ চান অভিভাবকরা

  © ফাইল ফটো

করোনা মহামারির সময়ে ইংরেজি মাধ্যম (ইংলিশ মিডিয়াম) স্কুলের টিউশন ফি  ৫০ শতাংশ মওকুফ চেয়েছেন অভিভাবকরা। এ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন তারা। গত বৃহস্পতিবার অভিভাবকদের পক্ষে রাজধানীর উত্তরার দিল্লি পাবলিক স্কুল (ডিপিএস) প্যারেন্টস ফোরামের সভাপতি ব্যরিস্টার ওমর ফারুক এ চিঠি দেন।

অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উত্তরায় অবস্থিত এ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ইমেইল করে অনলাইনে তিন মাসের টিউশন ফি পরিশোধের জন্য অভিভাবকদের তাগাদা দেয়। বন্ধের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ একবার টিউশন ফি বাড়ানোর উদ্যোগ নিলেও অভিভাবকদের প্রতিবাদের মুখে পিছিয়ে যায়। এখন অভিভাবকদের থেকে পরিবহন ফি আদায়ের চেষ্টা করছে।

অথচ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পরিবহন ব্যবহার করছে না। অভিভাবকরা জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ নানা ফাঁকফোকর ব্যবহার করে প্রতি বছর টিউশন ফি ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে।

ওমর ফারুক বলেন, ‘ডিপিএস-এসটিএসসহ দেশের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ৫০ শতাংশ মওকুফ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। করোনাকালীন দেশের অভিভাবকরা আর্থিক টানাপড়েনে পড়েছেন। সব বিদ্যালয়ের টিউশন ফিও অনেক বেশি। ৫০ শতাংশ টিউশন ফি নিলেও তাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবেন, কোনো সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, অভিভাবকদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বাসার কাজের লোক, ড্রাইভারসহ অনেককে দুর্দিনে সহায়তা দিয়ে যেতে হচ্ছে। আমরা ৫০ শতাংশ টিউশন ফি ওয়েভারের সুবিধা ফুলটাইমের জন্য ফুল অ্যামাউন্ট চাইছি না। করোনার সময়ের জন্যই শুধু চাইছি।

ডিপিএস-এসটিএস প্যারেন্টস ফোরামের সহ-সভাপতি সালমা মমতাজ বলেন, এতদিন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলো ভালো ব্যবসা করেছে। এখন দুর্যোগকালে তারা ৫০ শতাংশ ছাড় দিলে কোনো সমস্যাই হওয়ার কথা নয়।

অভিভাবকরা জানান, ডিপিএস-এসটিএস স্কুলের শিক্ষার্থীদের এ লেভেল টিউশন ফি বাবদ মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা এবং ও লেভেল থেকে জুনিয়র ক্লাসগুলোয় প্রতি মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়। নার্সারি স্তরের শিক্ষার্থীদের স্কুলে টিউশন ফি দিতে হয় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।

এসব বিষয়ে ডিপিএস-এসটিএস এর অধ্যক্ষ হর্ষ ওয়াল বলেন, টিউশন ফি পরিশোধের জন্য তারা অভিভাবকদের সময় দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তাদের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ২০২০-২০২১ সালে টিউশন ফি বাড়ানো হবে না। পাশাপাশি বার্ষিক টিউশন ফি দিতে চার কিস্তির পরিবর্তে ১০ কিস্তিতে ভাগ করা হয়েছে। ক্রেডিট কার্ড সংস্থাগুলোর সাথে সুদমুক্ত টিউশন ফি দিতে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এতে অভিভাবকদের সুবিধা হবে।’

এসময় পরিবহন ফি’র বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি ছুটির দিনগুলোয় পরিবহন ফি কাটা হবে না। ইতিমধ্যে যে টাকা নেওয়া হয়েছে, পরিবহন চালু হলে তার থেকে সমন্বয় হবে।

পরিবহন ফি বাবদ উত্তরার ভেতরে হলে ফি বাৎসরিক ৪৮ হাজার টাকা। বসুন্ধরার বাসিন্দাদের জন্য ৭২ হাজার টাকা দিতে হয়। এছাড়া চলতি বছর গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মিরপুর ও বারিধারার (ডিওএইচএস) বাসিন্দাদের জন্য ৯০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে পরিবহন ফি।


সর্বশেষ সংবাদ