করোনার প্রভাব

সঙ্কটে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, প্রণোদনা প্যাকেজে অন্তর্ভুক্তির আহবান

  © টিডিসি ফটো

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মহামারী এই প্রার্দুভাব চলতে থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অবস্থায় প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব ধরণের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে দেশের এমন অবস্থায় অনেকের মত সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে রয়েছেন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল-কলেজের কয়েক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকার তথা মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় স্বভাবতই তারা সুদৃষ্টি পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান সঙ্কটে একদিকে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কাছে পাচ্ছে না; অন্যদিকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও বেতন নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে স্কুলের বাড়িভাড়া, শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা পরিশোধ ও তাদের পরিবারকে চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে।

সঙ্কটের এমন মুহূর্তে সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সংগঠন ‘ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমসাব)’। করোনা মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে প্রায় ১০ লাখ ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষক-কর্মচারীদের অর্ন্তভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। এ বিষয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

আজ শনিবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে ‘ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমসাব)’ আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার কাজী তাইফ সাদাত বলেন, প্রায় ১০ লাখ উচ্চশিক্ষিত লোক এই শিক্ষাব্যবস্থায় জড়িত। যার পুরোপুরিভাবে শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভরশীল। করোনা-সঙ্কটে স্কুল বন্ধ থাকায় তাদের থেকে বেতন আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে স্কুলের বাড়িভাড়াসহ সামগ্রিক ব্যয়ভার চালানোর সক্ষমতা এখন তাদের নেই। এই দুর্যোগকালে আমরা সরকারকে পাশে চাই।

তিনি বলেন, দেশের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোন বরাদ্দ নেই। এই সঙ্কটে সরকারের পক্ষ থেকে থোক বরাদ্দ থাকলে কয়েক মাস চলা যেত। কিন্তু এখনও সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। তাই সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে আমাদের অর্ন্তভুক্ত করতে সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ