হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন দেয়ার তালিকা হচ্ছে

সারাবিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তাররোধে বিগত প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকায় ভেঙে পড়েছে শিক্ষা কাঠামো। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিকল্প উপায় হিসেবে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ইন্টারনেট ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। প্রশ্ন উঠে স্মার্টফোন/ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা নিয়ে? পরবর্তী এসব বিবেচনায় নিয়ে গত ৬ আগস্ট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো: কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে সকল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে স্মার্টফোন /ডিভাইস ক্রয়ে অসামর্থ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়।

ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম এর আদেশক্রমে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ স্বাক্ষরিত একটি পত্রে সকল ডিনদের কাছে স্মার্টফোন কিনতে অসামর্থ্য-আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূলে ডাটা সরবরাহ ও soft loan/Grants এর আওতায় স্মার্টফোন সুবিধা দেয়ার কথা বিবেচনায় নিয়েছে।

এমতাবস্থায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনুষদের যে সকল শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন ক্রয়ে আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই শুধুমাত্র সে সকল শিক্ষার্থীর নির্ভুল তালিকা আগামী ১৭ আগস্টের মধ্যে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ বরাবর জমা দিবেন। এসময় অনুষদের নাম, শিক্ষার্থীদের নাম ও মোবাইল নম্বর, আইডি নম্বর, লেভেল/সেমিস্টার, পিতার নাম, পেশা ও মোবাইল নম্বর ছক মোতাবেক সংযুক্ত করে স্বাক্ষরিত হার্ড কপি এবং ই-মেইলে সফটকপি প্রেরণ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে ড.ইমরান পারভেজ জানিয়েছেন, ইউজিসির চিঠি পাওয়ার পর ভাইস চ্যান্সেলর আদেশক্রমে গত ৯ আগস্ট আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়ে সকল ডিনদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি তারা নির্ধারিত ১৭ আগস্টের মধ্যে প্রকৃতভাবে স্মার্টফোন ক্রয়ে অসামর্থ্য শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা পাঠিয়ে দিবেন। প্রকৃত ও সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

চিঠি পাওয়ার বিষয় সিএসই অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন জানান, আমি আবেদন পত্রটি হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ থেকে পাওয়ার পরপরেই আমার অনুষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করে আমাকে পাঠিয়ে দিবেন।


সর্বশেষ সংবাদ