২৭ দিনেও সমাধান মেলেনি বাড়িভাড়া সংকটের

  © ফাইল ফটো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) মেস ভাড়া মওকুফ সংক্রান্ত বিষয়ে কমিটি গঠনের ২৭ দিন পার হলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত সমাধান পাননি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী কিছু এলাকার বাড়িওয়ালাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে ৪০ শতাংশ বাড়িভাড়া মওকুফ করা হলেও বেশ কয়েকটি এলাকার বাড়িওয়ালাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহের সিটভাড়া মওকুফের বিষয়েও কোনো ঘোষণা প্রদান করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বাড়িভাড়া নিয়ে এখনো নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবীনবাগে বসবাসরত জীববিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘বাড়িওয়ালা প্রায় নিয়মিত ভাড়া প্রদানের জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন কিন্তু বর্তমানে আমি সম্পূর্ণ ভাড়া দেয়ার মত অবস্থায় নেই। করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের পরিবারের আয় বন্ধ সেইসাথে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে আম্পানের ক্ষতি।’’

ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘‘বাড়িওয়ালাকে অনুরোধ করেছিলাম অর্ধেক ভাড়া নিতে কিন্তু তিনি রাজি হননি। আশা করেছিলাম প্রশাসন এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে কিন্তু প্রশাসন এখন পর্যন্ত নবীনবাগে বাড়িভাড়া সংকট নিরসনে আশানুরূপ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।’’

পাচুরিয়া এলাকায় বসবাসরত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করবে এমন আশায় এতদিন কোনো মতে বাড়িওয়ালাকে বুঝিয়েছিলাম কিন্তু প্রশাসন এখন পর্যন্ত আমাদের এলাকার বাড়িওয়ালাদের সাথে আলোচনার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘বাড়িওয়ালারা এখন আর অপেক্ষা করতে চাইছেননা, তারা দ্রুত বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে বলছেন অথবা মালামাল বের করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।’’

এ বিষয়ে মেস/সিট ভাড়া মওকুফ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত কমিটির সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি, ঈদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা সকল বাড়ির মালিকদের সাথে আলোচনা করতে পারিনি। তবে আমরা বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের সাথে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন। আশা করছি খুব দ্রুত-ই আমরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে পারবো।’’

সিট ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছি এবং খুব শীঘ্রই একটা ঘোষণা আসবে।’’

উল্লেখ্য, বশেমুরবিপ্রবিতে পাঁচটি আবাসিক হলে মাত্র ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই পড়ালেখা চালিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিভিন্ন মেসে বসবাস করছেন। বিভিন্ন মেসে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৭ মে মেস/সিট ভাড়া মওকুফ সংক্রান্ত বিষয়ে কর্মনীতি, পরিকল্পনা নির্ধারণ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ