নোবিপ্রবি’র উদ্যোগে ২ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ

নোবিপ্রবি’র ল্যাবে এসব তৈরি করা হয়
নোবিপ্রবি’র ল্যাবে এসব তৈরি করা হয়  © টিডিসি ফটো

নোয়াখালীর স্থানীয় মানুষের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নিজস্ব ল্যাবরেটরীতে উৎপাদিত দুই হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। ফলিত রসায়ন বিভাগের ল্যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উৎপাদনে অংশ নেয়।

আজ নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ সোনাপুর-মাইজদী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশে স্থানীয় পর্যায়ে বিনামূল্যে বিতরণ করেছে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল (এসিসিই) বিভাগের ল্যাবরেটরীতে শিক্ষকদের তত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজারসমূহ তৈরি করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর দিদার-উল-আলম এর পরিচালনায় ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাতেহ নূর রুবেল ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ ফয়সাল হোসেন এতে সহযোগিতা করেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস অন্যান্য দেশের মতো প্রকট আকার ধারণ না করলেও এ নিয়ে মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার অভাব। যার ফলশ্রুতিতে ভুগছে দেশ।

নোবিপ্রবি ফলিত রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, এই মুহূর্তে সারাবিশ্ব করোনায় স্থবির হয়ে পরেছে। আমাদের সকলের উচিত করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতন থাকা। বিভিন্ন ভাবে সবাইকে করোনা থেকে মুক্ত রাখার জন্য কাজ করে যাওয়া।

নোয়াখালীর স্থানীয় মানুষদের প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ঘাটতি পূরণে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নোবিপ্রবি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত আইসোপ্রোপানল, গ্লিসারল, হাইড্রোজেন-পারক্সাইড।

নোবিপ্রবি বিজ্ঞান ক্লাব হ্যান্ড স্যানিটাইজারসমূহ তৈরিতে সহযোগিতা করেছে এবং বিতরণে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।


সর্বশেষ সংবাদ