চুয়েট শিক্ষার্থীদের তৈরি অটো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে খুশি নগরবাসী!

  © টিডিসি ফটো

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কোনো মানুষ যদি বোতলে আবদ্ধ কোনো হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্পর্শ এবং ব্যবহার করে থাকে তাহলে পরবর্তীতে ঐ বোতল ব্যবহারকারী সকলের শরীরের ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার একটা প্রকোপ থেকে যায়। সেই চিন্তাভাবনা থেকে বিশ্বব্যাপী মহামারী ‘করোনাভাইরাস’ এর প্রাথমিক প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জীবাণুনাশক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ‘অটো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ডিস্পেন্সার’ আবিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর রোবট গবেষণাভিত্তিক সংগঠন রোবো মেকাট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (আরএমএ)। এটি তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে উদ্ভাবিত প্রথম স্বয়ংক্রিয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন।

সফলভাবে উদ্ভাবিত যন্ত্রটি চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পাশে স্থাপন করা হয়েছে। পাশে লিখিতভাবে দেয়া হয়েছে যন্ত্রটির ব্যবহারবিধি এবং করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে সচেতনতামূলক করণীয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুমোদিত প্রস্তুতপ্রণালী ব্যবহার করে প্রাথমিকভাবে যন্ত্রটিতে দুইলিটার তরল স্যানিটাইজার রয়েছে। তবে পরবর্তীতে আরো বৃহৎ পরিসরের স্বয়ংক্রিয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন বসানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে সংগঠনটির।

এ ধরণের ব্যতিক্রমী যন্ত্র উদ্ভাবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংগঠনের অন্যতম সদস্য হাসিবুল ইসলাম সোহাগ জানান, সাধারণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার সময় মানুষ হাত ব্যবহার করছে। পূর্বে ব্যবহৃত মানুষের যদি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সুপ্তায়িত থেকে থাকে তাহলে পরে সেই স্যানিটাইজার অন্য কেউ ব্যবহার করতে গেলে তারও সংক্রমণ হতে পারে। এসব সমস্যা দূর করতে আমাদের এ উদ্যোগ। এছাড়া রিক্সাওয়ালাসহ সাধারণ জনগণের ব্যবহারের সুবিধার্থে এটির ব্যবহার সবার জন্য উন্মুক্ত।

সার্বিক ব্যাপারে সংগঠনের সভাপতি সৌরভ রক্ষিত রিদন বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে সবার উচিৎ করোনাভাইরাসের প্রকোপ এড়াতে যার যার সাধ্যমতো চেষ্টা করা। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। তবে আশা করছি প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে সহায়তা পেলে এটাকে আরো বিস্তৃত পরিসরে প্রয়োগ করতে পারব এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে নগরের বিভিন্ন জায়গায় আরো ১৫টি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে।