ইউজিসি কমিটিতে আস্থা নেই শিক্ষার্থীদের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) চলমান সমস্যা নিরসনে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কমিটির প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ইউজিসির অনুমতি না নিয়ে ইতিহাস বিভাগ খোলায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আর গঠিত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে না দেয়ায় আস্থা রাখতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।

আজ (বুধবার) দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী কারিমুল হক।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৮ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য ইউজিসি কর্তৃক সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু গঠিত কমিটি ঠিক কত দিনের ভিতর তাদের প্রতিবেদন জমা দিবে এ বিষয়ে উল্লেখ নেই। ফলে কমিটির প্রতিবেদনের আলোর মুখ দেখা নিয়ে আমরা যথেষ্ট সন্দিহান।’

এসময় শিক্ষার্থীরা ইউজিসির কার্যক্রমের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ইউজিসিকে আমরা কিছু প্রশ্ন রাখতে চাই, ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি অরিয়েন্টেশন ক্লাস তৎকালীন ইউজিসি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। তারপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ৩ ব্যাচে ৪২৪ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়, ইউজিসি কিভাবে এতটাই উদাসীন থাকে যে এ বিষয়ে তিন বছরেও অবগত হননি? আজকে যখন এই শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তখন ইউজিসি কি কোনোভাবে এর দায় এড়াতে পারে?

এছাড়া, আমরা জানি প্রতি ৬ মাস পরপর ইউজিসি কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় অডিট করা হয়। তাহলে গত তিন বছরের অডিটে ইউজিসি কি কখনো দেখিনি যে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন বিহীন একটা ডিপার্টমেন্ট চলছে?

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বলবো ইউজিসি তাদের কর্তব্যে অবহেলা করেছে অথবা তারা দুর্নীতিগ্রস্থ যার কারণে তিন বছর ধরে একটা বিভাগ একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে কিন্তু সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ‘যদি কেউ এই আন্দোলনকে পুঁজি করে ৪১৩ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে অপরাজনীতি চেষ্টা করেন তাদেরকে আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে আপনারা খেলবেন না এর পরিণাম ভালো হবে না।’

এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, অনুমোদন প্রদান না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং ২০ তারিখ থেকে আমরণ অনশন শুরু করবেন

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে টানা আটদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সমস্যা সমাধানে ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউজিসি কর্তৃক সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ