ক্যাম্পাসে বহিরাগত বন্ধু প্রবেশ নিয়ে বুটেক্সের দুই হলে সংঘর্ষ

সংঘর্ষ চলাকালে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা
সংঘর্ষ চলাকালে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা  © টিডিসি ফটো

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) কয়েকজন শিক্ষার্থীর বহিরাগত বন্ধু প্রবেশের সময় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সংঘর্ষ না হলেও কনসার্ট শেষে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ ঘটনার এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আজিজ হল এবং জিএমএজি ওসমানী হলের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৫ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত ও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা সকলে আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শুরুতে ছাত্রদের দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চললেও এক পর্যায়ে তারা শহীদ আজিজ হল ও জিএমএজি হলে ভাগ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। চলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্ট ছিল। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রের বহিরাগত বন্ধুদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়ার জেরে তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে তাৎক্ষণিক কোনো সংঘর্ষ না হলেও কনসার্ট শেষে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই হলের শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটপাটকেলের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে আজিজ হলের একজন এবং ওসমানী হলের ৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।পরে বিষয়টি আবাসিক হল কেন্দ্রিক হয়ে তীব্র সংঘর্ষে রূপ ধারণ করে।

বিষয়টি আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ জুলহাস উদ্দিনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যদের একটি দল ওসমানী হল ও আজিজ হল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাদের কাছে ঘটনার বৃত্তান্ত জানেন।

অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পরিস্থিতি ক্যাম্পাস প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শাকিরুল ইসলাম পিয়াস বলেন, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং ক্লাসগুলো ঠিকমতো চলবে। কোনো অবস্থাতেই ক্লাস চলা বন্ধ হবে না। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাস ও হলগুলোর সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।