বিশ্ববিদ্যালয় সচলের দাবি শিক্ষার্থীদের (ভিডিও)

  © টিডিসি ফটো

একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা চত্বরে সকাল ১১টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা গত ৯ ফেব্রুয়ারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন তালাবদ্ধ করে দেয়ায় তারা ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না এবং সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারছেন না।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে তিনমাসের সেশনজটে রয়েছি। এই মাসে আমাদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনের কারণে আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছিন।’

আরেক শিক্ষার্থী অঙ্কিতা বলেন, ‘ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবিটি যৌক্তিক, কিন্তু এভাবে সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেয়াটা অযৌক্তিক। এখনো অনেক বিভাগে পরীক্ষা হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে সেশনজটে তৈরি হবে। তাছাড়া যারা স্কলারশিপসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে সার্টিফিকেট তুলতে চাচ্ছে তারাও সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।’

এই শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘ইতিহাস বিভাগ তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন করুক কিন্তু আমরা চাই তারা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনের তালা খুলে দিক।’

এদিকে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলেই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক শাখার ম্যানেজার মো. শিমুল মোল্লা জানিয়েছেন, ‘আন্দোলনের কারণে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রতিদিন আমাদের এই শাখায় কয়েক লক্ষ টাকার লেনদেন হয় কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার কারণে বর্তমানে লেনদেন প্রায় বন্ধ রয়েছে।’

আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নুরুদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, ‘আন্দোলনের ফলে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজসমূহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরি কমিশনশহ কারো সাথেই আমরা দাপ্তরিক যোগাযোগ করতে পারছি না। এমনকি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সংক্রান্ত কাজসমূহও আটকে আছে। এভাবে চলতে থাকলে ৩০০ এর অধিক শিক্ষার্থী হয়তো বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হবে।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন তারাও চান বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম শুরু হোক কিন্তু ইউজিসি এখনো সিদ্ধান্ত প্রদান না করায় তারা আন্দোলন চালিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারী ইউজিসিতে একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। মিটিং এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারী ইতিহাস বিভাগে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর নির্দেশ দেয় ইউজিসি। ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওইদিন রাত থেকেই আন্দোলন শুরু করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ