বশেমুরবিপ্রবির চলমান অচলাবস্থা: শিক্ষার্থীর আবেগঘন স্টাটাস

  © টিডিসি ফটো

বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলনরত ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে কৃষি বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি খোলা আহবান জানিয়েছেন। খোলা আহবানটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে আমার খোলা আহবান-

বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে ইতিহাস বিভাগের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের সাথে একমত পোষণ করছি। তাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে সাধুবাদ জানাই। ইউজিসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের দাবি অতি দ্রুত মেনে নেওয়ার আহ্বান করছি।

আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম ব্যাচের এবং কৃষি বিভাগের ১ম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী। আপনারা জানেন আমাদের অনার্সের রেজাল্ট হয়েছে কিছুদিন আগে। আমরা যারা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস কোর্সে ভর্তি হব তাদের জন্য এখন মার্কশীট ও মাইগ্রেশন লেটারসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এখন বাকৃবিতে এমএস কোর্সে ভর্তির সার্কুলারও অলরেডি দিয়ে দিয়েছে। আগামী ২৫ তারিখ আবেদন ফরম তোলার ও ২৭ তারিখ পর্যন্ত ফরম জমা দেওয়ার সময়সীমা রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অচলাবস্থায় আমরা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারছি না।

জরুরি কাগজপত্র উঠানোর প্রসেসটা অনেক লম্বা। হুট করে চাইলাম আর তারা আমাকে কাগজপত্র দিয়ে দিবে বিষয়টা কিন্তু এমন না। রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ফরম তুলা, বিভাগীয় চেয়ারম্যান স্যারের সত্যায়ন, লাইব্রেরী ক্লিয়ারেন্স, হল প্রাধ্যক্ষের ক্লিয়ারেন্স, ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া এবং রেজিস্ট্রার অফিসে ফরম জমা দেওয়া এবং ৩ কর্মদিবস পর সাধারণত কাগজপত্র উঠানো যায়।

এ কাজগুলো সময়সাপেক্ষ ব্যপার। আমাদের সাথে যারা ৬ তারিখে কাগজপত্রের জন্য আবেদন করেছিল ৩ কর্মদিবস পর শুক্র-শনিবার মিলিয়ে ১২ তারিখ তাদের কাগজপত্র পাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান অবস্থায় তারা সেসব উঠাতে পারেনি। এমতাবস্থায় রবিবার যদি আমরা আবেদন করতে পারি তাহলে বৃহস্পতিবার এর মধ্যে আমরা কাগজপত্র তুলতে পারবো ইনশাআল্লাহ। এছাড়া আমাদের হাতে বেশী সময়ও নেই। কিন্তু আরো একটি সপ্তাহ দেরি হলে আমাদের এবছর আর বাকৃবিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

আমরা গতসপ্তাহে আপনাদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলাম, যাতে করে আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের দাবি আরো সুসংহত হোক। এখন আন্দোলন একটা ভালো পর্যায়ে চলে গেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু এভাবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির হয়ে থাকলে তা আমাদের পাশাপাশি অনেকেরই বিরাট আকারের ক্ষতি সাধন করতে পারে। তাই এখন আপনাদের আন্দোলন চলমান রেখে এর ধরণ কিছুটা পরিবর্তন করা অনস্বীকার্য বলে মনে করছি।

আমরা বাকৃবিতে ভর্তি হতে পারা নিয়ে শঙ্কিত। এই সেশনে শুধুমাত্র কাগজপত্রের অভাবে ভর্তি হতে না পারলে আমাদের একবছর সময় নষ্ট হয়ে যাবে।

আপনারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যান এবং এই আন্দোলনে সবসময় আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। কিন্তু আমাদের দিকে তাকিয়ে এবং প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে প্রশাসনিক ভবনসহ অন্যান্য ভবনের তালা সাময়িক সময়ের জন্য হলেও খুলে দেয়ার আহবান জানাচ্ছি। এতে আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবো।


সর্বশেষ সংবাদ