আবরার হত্যায় অভিযোগ গঠন ৩০ জানুয়ারি

  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। এরপর অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তারিখ নির্ধারণ করেন।

আদালত বলেছেন, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে। সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল শুনানির সময় আদালতে বলেন, ইতিমধ্যে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি পরিচালনা করার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সকালে আবরার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ২২ জনকে কারাগার থেকে আদালতের এজলাস কক্ষে তোলা হয়। কয়েকজন আসামির পক্ষে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত তখন তাদের আইনজীবীদের বলেন, এসব আবেদনের শুনানি করবেন যে আদালতে মামলাটির বিচার হবে। ওই আদালতেই যেন তারা এসব আবেদন জমা দেন।

গত ১৩ জানুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

এজাহারে থাকা আসামিরা হলো, মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।

এজাহারবহির্ভূত ৬ জন হলো, ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।

পলাতক তিন আসামি হলো মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম দুই জন এজাহারভুক্ত আসামি।

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাতে শেরে বাংলা হলে আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে লাশ হলের সিঁড়িতে রেখে দেয়। এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।


সর্বশেষ সংবাদ