লাঞ্ছনা-হুমকির অভিযোগে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা

  © টিডিসি ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষকদের অন্যায়ভাবে লাঞ্ছনা, নিগ্রহ ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। এছাড়া ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত তিনদিনের কর্মবিরতিও ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন তারা। এসময় কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়।

মানববন্ধনে বশেমুরবিপ্রবি চেয়ারম্যান পরিষদের সভাপতি সালেহ আহমেদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে অভিযোগ করা হয়, বেশ কিছুদিন ধরে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষকদেরকে অন্যায়ভাবে লাঞ্ছনা, নিগ্রহ ও হুমকি প্রদান করে আসছে।

তিনি বলেন,‘বিগত সময়ে বিশেষ করে (সাবেক উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন পরবর্তী সময়ে) শিক্ষক নিগ্রহের সুবিচার না হওয়ায় ক্রমাগত শিক্ষকদের ওপর নিগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষক নিগ্রহের কথা বলতে গিয়ে বিশেষভাবে বলা যায়, অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি খসরুল আলমকে হত্যার হুমকি, বিজিই বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে একাডেমিক পরিবেশ নষ্ট করা, গণিত বিভাগের সভাপতি ড. দীপঙ্কর কুমারকে লাঞ্ছিত করা, বিজয় দিবস হলের প্রভোস্ট শফিকুল ইসলামকে মানহানি, হুমকি প্রদান ও মিথ্যা খবর প্রচার। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন শিক্ষিকাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরো জানান, ‘সর্বসম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) কাজী মসিউর রহমান ও তার পরিবারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য পরিসরে অসত্য প্রচার, কুরুচিপূর্ণ গালাগালি ইত্যাদির মাধ্যমে হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বিলওয়াবসের দুইজন শিক্ষিকার সাথেও অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের ঘটনা ঘটেছে।’

মানববন্ধনে বলা হয়, এসকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানসিক নিপীড়নে বিপন্নবোধ করছেন এবং এই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে শিক্ষাদান ও গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

মানববন্ধন থেকে শিক্ষক নিপীড়নের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত তিনদিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষক লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানানো হয়।


সর্বশেষ সংবাদ